উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত আরপিও পুনরায় সংশোধন করা একটি দলের অন্যায়-অযৌক্তিক আবদারের কাছে নতি স্বীকার করার শামিল বলে জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। গতকাল দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। এ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড অতীতেও একটি বিশেষ দলের প্রতি আনুগত্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনে গিয়ে একটি অসম ও অবৈধ চুক্তি করে একটি দলের চাপে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে। একই সঙ্গে উপদেষ্টা পরিষদে গৃহীত হওয়ার পর একটি দল যখন রাজনৈতিক দলের মার্কা ব্যবহারের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে তখন আবার পুনর্বিবেচনার নামে দলের প্রতি যে আনুগত্য প্রকাশ করেছে সরকার, নিঃসন্দেহে এতে এ সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা এ সিদ্ধান্ত মানি না এবং এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের নিন্দা জানাচ্ছি।
সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আমরা স্পষ্ট করতে চাই, ইতিপূর্বে নির্বাচন কমিশন এবং উপদেষ্টা পরিষদে প্রত্যেকটি দলকে নিজ নিজ প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে বলে যে দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত এবং জাতি একমত।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে বিএনপি নতুন করে যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে এটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত। জনগণ ফেব্রুয়ারিতে যে একটি জাতীয় নির্বাচন চাইছে, নির্বাচনের ঠিক আগে হঠাৎ এরকম রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা-উত্তাপ তৈরি করা ফেব্রুয়ারির নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, এরকম অশুভ চক্রের কাছে প্রধান উপদেষ্টা নতি স্বীকার করবেন, বশ্যতা স্বীকার করবেন এবং ষড়যন্ত্রের কাছে নতি স্বীকার করে উনি সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাবেন, এটা আমরা আশা করি না। আমরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ আশাই করি যে, সংস্কার ছিল উনারই নিজস্ব প্রোডাক্ট। উনি উনার এ সন্তানকে নিজ হাতে ছুড়ে দিয়ে হত্যা করবেন, এটা জাতি বিশ্বাস করে না।
তিনি বলেন, আর যদি এটাই প্রধান উপদেষ্টা করেন তাহলে জাতির সঙ্গে যে ওয়াদা উনি করেছিলেন সে ওয়াদা উনি ভঙ্গ এবং খেলাফ করবেন বলেই জাতি মনে করবে। আমরা আশা করি, উনি দৃঢ় ভূমিকা পালন করবেন এবং সংস্কার বাস্তবায়নে যথার্থ এবং সঠিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।