ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ‘একান্ত অপরিহার্য কারণ’ ছাড়া সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। ২১ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব সাইফুল্লাহ পান্না স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিদেশ ভ্রমণসংক্রান্ত আগে জারি করা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিপত্র প্রতিপালন এবং অর্থ বিভাগের ৮ জুলাইয়ের ৭ নম্বর স্মারকে বিদেশভ্রমণ সীমিত করাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে লক্ষ করা যাচ্ছে, নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ না করে বিদেশভ্রমণের ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ও সচিব একই সময়ে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। একসঙ্গে বিদেশে যাচ্ছেন একই মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা। এ ধরনের প্রস্তাব প্রায়ই এ কার্যালয়ে পাঠানো হচ্ছে, যা নির্দেশনার পরিপন্থি। এ অবস্থায় আগে জারি করা বিদেশভ্রমণসংক্রান্ত সব নির্দেশনা প্রতিপালন এবং এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশভ্রমণ পরিহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সচিবকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
সংশোধিত বাজেটেও কৃচ্ছ্রসাধন নীতি : চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেও কৃচ্ছ্রসাধন নীতি অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ বিভাগ। এজন্য অর্থবছরের বাকি সময়েও বন্ধ থাকবে গাড়ি কেনা, বিদেশভ্রমণ, সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম আয়োজন। অতি জরুরি ছাড়া এ ধরনের কেনাকাটা বন্ধই থাকবে। এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, সংশোধিত বাজেটেও ব্যয়সাশ্রয় বা কৃচ্ছ্রসাধন নীতির আওতায় সরকারি খরচে সব ধরনের বৈদেশিক ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। কোনো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সংশোধিত বাজেটে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ চাইতে পারবে না। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, চলমান সংকোচনমূলক নীতির প্রেক্ষাপটে গত কয়েক বছরের মতো সংশোধিত বাজেটেও ব্যয়সাশ্রয় বা কৃচ্ছ্রসাধন নীতি অব্যাহত রাখতে হবে। এর আওতায় বিদেশভ্রমণ, গাড়ি কেনাসহ বেশ কিছু ব্যয় বন্ধ থাকবে। এ নীতি অনুসরণ করে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তাদের সংশোধিত বাজেটের প্রাক্কলন ৯ নভেম্বরের মধ্যে অর্থ বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে।