জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনে অনেকগুলো পক্ষের শক্তি জড়িত। ৫ আগস্টের পর যখন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে, তখন বিএনপি বলেছে আমাদের পক্ষ থেকে একজন, জামায়াতের একজন এবং আর্মি থেকেও এখানে একজন দেওয়া হয়েছে। এটাকে ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়েছে কেকের মতো। এখন নির্বাচন কমিশন তাদের পারপাস সার্ভ করছে।’ গতকাল দুপুরে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বরগুনা পৌঁছে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। জানা যায়, বৈঠকে তিনি বরগুনায় একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও সাংগঠনিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর-পর্বে কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এ সময় শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার নিয়ে, মার্কা নিয়ে আমরা সব সময় একটা অবস্থানে ছিলাম এখনো সেই অবস্থানে আছি। নির্বাচন কমিশনের কোনো নীতিমালা নেই, কোন নীতিমালার অধীনে এখন শাপলা কলি প্রতীক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে, কোন নীতিমালার অধীনে শাপলা অন্তর্ভুক্ত হবে না- সেটি এখনো স্পষ্ট করেনি। কোন নীতিমালার অধীনে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে মার্কা দিয়েছে, সেটাও স্পষ্ট করেনি। তার মানে এই নির্বাচন কমিশনের এই মার্কা অন্তর্ভুক্তিকরণ বা না করণের সিদ্ধান্ত স্বেচ্ছাচারী।
সভায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, যুগ্ম সদস্য সচিব এবং শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।