নড়াইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতবিনিময় সভায় হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নড়াইল-১ আসনের দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী এস এম সাইফুজ্জামানকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে কর্মীরা মারধর করেন। গতকাল নড়াইল পৌর শহরের পালকী কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় জাতীয় যুবশক্তির যুগ্ম সদস্যসচিব মাহমুদা সুলতানা রিমি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল বেলা ৩টায় পৌর শহরের পালকী কমিউনিটি সেন্টারে এনসিপির মতবিনিময় সভা শুরু হয়। এ সময় মঞ্চে এস এম সাইফুজ্জামানকে দেখে প্রতিবাদ করেন আউড়িয়া ইউনিয়নের এনসিপির কর্মী ইরফান বারী উজ্জ্বলসহ দলের একাংশের নেতা-কর্মীরা। তারা ‘ফ্যাসিস্ট কেন মঞ্চে’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। একপর্যায়ে ইরফান বারী উজ্জ্বলসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী তার দিকে তেড়ে যান এবং হট্টগোলে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় জেলা কমিটির অন্যতম নেতা এবং পাঁচগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান এস এম সাইফুজ্জামানকে মারধর করেন। তখন কেন্দ্রীয় নেত্রী ও জেলার নেতারা তাদের থামাতে ব্যর্থ হলে প্রাণে বাঁচতে সভাস্থল থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান এস এম সাইফুজ্জামান।
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাঁচগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান এস এম সাইফুজ্জামান উপজেলা আ.লীগের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু তৃণমূল পরিষদের পশ্চিম কালিয়া কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পদে ছিলেন। এ ছাড়া তিনি নড়াইল-১ আসনের পতিত আ.লীগ সরকারের সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তির ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তবে চলতি বছর ৩ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত ১৯ সদস্যবিশিষ্ট ঘোষিত নড়াইল জেলা সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এস এম সাইফুজ্জামান। এনসিপির কমিটিতে স্থান পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আগে থেকেই ব্যাপক গুঞ্জন ছিল।
ঘটনা সম্পর্কে এনসিপির নড়াইল জেলা সমন্বয় কমিটির অন্যতম সদস্য এস এম সাইফুজ্জামান বলেন, ‘সভায় অপরিচিত কিছু ভাড়াটিয়া গুন্ডার অনুপ্রবেশের কারণে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে। এটি তেমন কিছু নয়। পরে দলীয় নেতা-কর্মীরা এটি মীমাংসা করে দিয়েছেন।’