বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনা অনুযায়ী, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ১০টির বেশি সক্রিয় সিম বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা শুরু করেছে অপারেটরগুলো। এর আগে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম ব্যবহার করতে পারতেন। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এখন একজন ব্যবহারকারী সব অপারেটর মিলিয়ে সর্বাধিক ১০টি সিম রাখতে পারছেন।
গতকাল থেকে বিটিআরসির সিদ্ধান্ত কার্যকর করা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো। বিটিআরসি বলছে, সিম ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা ফেরানো ও বিভিন্ন প্রতারণা রোধ করতেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিম বন্ধের প্রক্রিয়ায় ‘দৈবচয়ন’ নীতি অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
জানা যায়, ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে অপারেটরগুলোর প্রকৃত গ্রাহক সংখ্যা মাত্র ৬ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের নামে ৫টির কম সিম রয়েছে, ৬ থেকে ১০টি সিম আছে প্রায় ১৬ শতাংশের, আর ১১টির বেশি সিম ব্যবহার করেন মাত্র ৩ শতাংশ গ্রাহক। অথচ দেশে সক্রিয় মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৮ কোটি ৬২ লাখ। বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী জানান, ১ নভেম্বর থেকে অপারেটররা অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয়ের কাজ শুরু করেছেন। কোনো এনআইডির বিপরীতে যেন ১০টির বেশি সিম সক্রিয় না থাকে তা ডিসেম্বরের মধ্যেই নিশ্চিত করা হবে। গ্রাহকরা চাইলে অনলাইনে অথবা *১৬০০২# ডায়াল করে নিজেদের এনআইডিতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন।