বই পড়ায় বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে রয়েছে। সম্প্রতি সিইও ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের ২০২৪ সালের পাঠাভ্যাস সংক্রান্ত এক জরিপে দেখা গেছে, ১০২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৭তম।
ম্যাগাজিনের জরিপে বলা হয়েছে, গড়পড়তা একজন বাংলাদেশি পুরো বছরে মাত্র ৬২ ঘণ্টা বই পড়েন, সংখ্যার দিক থেকে এর পরিমাণ তিনটিরও কম। এর ফলে বই পড়ার অভ্যাস তথা পাঠাভ্যাস র্যাংকিংয়ে একেবারে তলানিতে ঠাঁই পেয়েছে বাংলাদেশ। জরিপে দেখা গেছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বইপড়ুয়া দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির নাগরিকরা বছরে গড়ে ৩৫৭ ঘণ্টা বই পড়েন, অর্থাৎ সপ্তাহে প্রায় সাত ঘণ্টা। খুব কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে ভারত ও যুক্তরাজ্য। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স এবং ইতালি। চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান মাঝামাঝি। তবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতই একমাত্র পাঠাভ্যাসে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে।
জরিপ অনুযায়ী, বই পড়ায় বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশ হলো- যুক্তরাষ্ট্র (৩৫৭ ঘণ্টা), ভারত (৩৫২ ঘণ্টা), যুক্তরাজ্য (৩৪৩ ঘণ্টা), ফ্রান্স (৩০৫ ঘণ্টা), ইতালি (২৭৮ ঘণ্টা), কানাডা (২৩২ ঘণ্টা), রাশিয়া (২২৩ ঘণ্টা), অস্ট্রেলিয়া (২১৭ ঘণ্টা), স্পেন (১৮৭ ঘণ্টা) ও নেদারল্যান্ডস (১৮২ ঘণ্টা)। অন্যদিকে বাংলাদেশ (৬২ ঘণ্টা), পাকিস্তান (৬০ ঘণ্টা) ও আফগানিস্তান (৫৮ ঘণ্টা) বিশ্বের সবচেয়ে কম বইপড়া দেশের তালিকায় জায়গা পেয়েছে। মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড ও তাইওয়ান (১৫৭ ঘণ্টা), সিঙ্গাপুর, বেলজিয়াম ও হংকং (১৫৫ ঘণ্টা)। এ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও চীনের মানুষ (মূল ভূখণ্ড) গড়ে ১৫৪ ঘণ্টা বই পড়ে। জাপানের অবস্থান তুলনামূলক নিচে, তারা বছরে গড়ে মাত্র ১৩৫ ঘণ্টা বই পড়ে। তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া ও ব্রাজিলের নাগরিকরা বছরে ১৩০ থেকে ১২৫ ঘণ্টা সময় দেন বই পড়ায়। ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ায় গড় বই পড়ার সময় ১২৩-১২২ ঘণ্টা। নিউজিল্যান্ড ১১৯ ঘণ্টা; গ্রিস, হাঙ্গেরি ও ইউক্রেন ১১৭ ঘণ্টা এবং স্লোভাকিয়া ১১৬ ঘণ্টা বই পড়ে।
তালিকার নিচের দিকে দেখা যায়, কেনিয়া ১০৮ ঘণ্টা, আর্জেন্টিনা ১০৩ ঘণ্টা এবং ভেনেজুয়েলার মানুষ ১০৪ ঘণ্টা বই পড়ে। সবচেয়ে নিচের অংশে রয়েছে বেশ কয়েকটি আফ্রিকান ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ। মরক্কো (৬৭ ঘণ্টা), আলজেরিয়া ও কাজাখস্তান (৬৫ ঘণ্টা), ইরাক (৬৪ ঘণ্টা) এবং গড়ে ৬০ ঘণ্টা করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব।