রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় বরিশালের মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মৃত রোগীর স্বজন চারজনকে আসামি করে ওই মামলা করা হয়েছে। এর আগে গতকাল সকাল ৮টায় হাসপাতালে ভাঙচুর করে মৃত রোগীর স্বজনরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. শাহারাজ হায়াত জানান, গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মফসের খন্দকার নামে এক রোগীকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনরা। রোগীর পালস না পাওয়ায় তার ইসিজি করার জন্য স্টাফদের নির্দেশনা দেওয়া হয়। রোগীর ইসিজি করার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। তিনি বলেন, মফসের খন্দকারের মৃত্যুর সংবাদ শুনেই তার ছেলে আবু হানিফ খন্দকার, ইব্রাহিম খন্দকার ও তাদের লোকজন ভাঙচুর শুরু করেন। তারা ইসিজি যন্ত্র, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, পালস অক্সিমিটারসহ আসবাবপত্র ভেঙে ফেলে। এ সময় তাদের বাধা দিলে কর্মচারী মিরাজকে মারধর করেন তারা।
মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইয়েদুর রহমান বলেন, অক্সিজেন কনসেনট্রেটর যন্ত্র সহজলভ্য নয়। হামলাকারীরা না জেনে বুঝে হাসপাতালের তিনটি যন্ত্র, আসবাবপত্র ভেঙে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি করেছেন। এ ছাড়া কর্মচারীকে মারধর ও চিকিৎসককে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেছেন তারা। এ ঘটনায় মুলাদী থানায় মামলা করা হয়েছে। মুলাদী থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় নামধারী তিনজন ও অজ্ঞাতনামা আরও চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত মফসের খন্দকারের ছেলে ইব্রাহিম খন্দকার বলেন, সকালে তার বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে প্রায় ২০-২৫ মিনিট পর চিকিৎসক দেখতে আসেন এবং চিকিৎসাপত্র দিয়ে ওষুধ কিনতে বলেন। ওষুধ নেওয়ার পরে জানানো হয় রোগী মারা গেছেন।