বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেছেন, সরকার এলডিসি (স্বল্পন্নোত দেশ) থেকে উত্তরণ (গ্রাজুয়েশন) তিন বছর পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে, এ নিয়ে অতিরিক্ত আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কম, কারণ বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ অনেক রাষ্ট্রই এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান র্যাপিড আয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ও এলডিসি গ্রাজুয়েশন বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য সচিব বলেন, আমরা এলডিসি থেকে উত্তরণ তিন বছর পিছিয়ে দিতে কাজ করছি। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছি, চেষ্টায় কোনো ত্রুটি রাখব না। মূলত বাণিজ্য সুবিধা আরও কিছুদিন বজায় রাখারই প্রচেষ্টা। তবে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কম, আবার একেবারেই হতাশ হওয়ারও কারণ নেই।
তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি রেজ্যুলেশন পাস করাতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ— জাপান, তুরস্ক, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রই এর বিরোধিতা করছে। এ অবস্থায় রেজ্যুলেশন পাস করানো কঠিন। তাই তাদের কাছ থেকে আমরা কারিগরি সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করছি।
কর্মশালায় র্যাপিডের চেয়ারম্যান এম এ রাজ্জাক একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কের কারণে আগামী এক বছরে দেশটিতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ১৪ শতাংশ কমতে পারে। একইভাবে দেশটিতে প্রতিযোগী দেশগুলোর রফতানিও কমবে। চীনের ৫৮ শতাংশ, ভারতের ৪৮ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২৮ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ার ২৭ শতাংশ পর্যন্ত রফতানি হ্রাস পেতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/কেএ