ইসরায়েলের ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ গঠনের লক্ষ্য এবার তুরস্ককে সরাসরি ঝুঁকির মুখে ফেলেছে। সিরিয়ায় আঙ্কারার কৌশলগত অবস্থান এবং ইসরায়েলি শাসনের আঞ্চলিক এজেন্ডার দৃঢ় বিরোধিতা তুরস্ককে তাদের সম্প্রসারণবাদের সম্ভাব্য পরবর্তী লক্ষ্য করে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী মনোভাব এখন বাস্তবতা। এটা উপেক্ষা করা যায় না। ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ গঠনের লক্ষ্যেই এই নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকবে বলেই মনে করা হয়। যদি ইসরায়েলকে থামানো না যায়, তাহলে এর আগ্রাসনকে কোনো সীমায় আটকে রাখা যাবে না। শুধু প্রতিবেশী দেশগুলোই নয় ধীরে ধীরে আরও দূরের দেশগুলোও ইসরায়েলের হুমকির মুখে পড়বে।
তুরস্কের ক্ষেত্রে বিষয়টি কেবল হামাসের কার্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং ইসরায়েলের আঞ্চলিক উপস্থিতি এবং তাদের সম্প্রসারণবাদী লক্ষ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইসরায়েলের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য সিরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা, যেখানে তুরস্ক নিজের সুরক্ষার জন্য নিজেদের অবস্থান বজায় রাখতে চায়।
বর্তমানে তুরস্ক এবং ইসরায়েলের মধ্যে স্পষ্ট সংঘাত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ইসরায়েল সিরিয়াকে বিভক্ত করতে চাইছে, অন্যদিকে তুরস্ক কৌশলগত এলাকাগুলোতে নিজেদের উপস্থিতি বজায় রাখতে। নিজেদের ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করতে চাইছে আঙ্কারা। এই সংঘাত দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের কারণ হতে পারে।
তুরস্কের সাধারণ জনগণের মধ্যেও ইসরায়েল-বিরোধী মনোভাব প্রবল। এটি আঙ্কারার পক্ষে ইসরায়েলের উপস্থিতি মেনে নেওয়া আরও কঠিন করে তুলেছে। তাই, তুর্কি-ইসরায়েল সংঘাতের মূল কারণ শুধু হামাসের নেতা বা তাদের কার্যকলাপ নয় বরং এর পেছনে রয়েছে ইসরায়েলের বৃহত্তর সম্প্রসারণবাদী লক্ষ্য।
ভূগোল এবং আঞ্চলিক ভূমিকার কারণে তুরস্ক ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী পরিকল্পনার পথে প্রধান বাধা। এটি নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক রাজনীতি উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ, যা এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের ঘটনাপ্রবাহকে প্রভাবিত করবে।
সূত্র: মেহের নিউজ
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল