ঢাকায় আজ থেকে শুরু হচ্ছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। রিকার্ভ ও কম্পাউন্ড মিলিয়ে ১০ ইভেন্টে পদকের লড়াইয়ে ৩০টি দেশের মোট ২০৯ আর্চার অংশ নিচ্ছে এবার। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও অংশ নিচ্ছে সমানতালে। রিকার্ভে ৫৪ এবং কম্পাউন্ডে ৩৮ জন মিলিয়ে মোট ৯২ নারী আর্চার খেলবেন এশিয়ার সেরা হওয়ার লড়াইয়ে। আজ ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতা শুরু হবে। শেষ হবে ১৪ নভেম্বর আর্মি স্টেডিয়ামে।
বাংলাদেশের ১৬ আর্চার অংশ নেবেন নিজেদের মাটিতে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায়। সমর্থকদের চোখ অবশ্য থাকবে আবদুর রহমান আলিফ, সাগর ইসলাম, বন্যা আক্তারদের দিকে। ২০২১ সালের আসরে একটি রুপা ও দুটি ব্রোঞ্জ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তিনটি পদকই এসেছিল দলগত ইভেন্ট থেকে। রিকার্ভ মিশ্র থেকে এসেছিল রুপার পদক। ২০২৩ সালে থাইল্যান্ডের আসর থেকে খালি হাতে ফিরেছিল বাংলাদেশ। তবে এবার ফের এশিয়াসেরা হতে বদ্ধপরিকর দলটি।
রিকার্ভ ইভেন্টের সাগর ইসলাম (আর্চারির র্যাঙ্কিংয়ে ৭৫তম) বলেন, ‘আমাদের দেশের মাঠে এবারের প্রতিযোগিতা। স্বাভাবিকভাবে অনেক কিছু আমাদের পক্ষে থাকবে। এখানকার সবকিছুই আমাদের জানা। এ প্রতিযোগিতার জন্য আমরা বছরজুড়ে ক্যাম্পে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আশা করি, পরিশ্রমের ফল আমরা পাব। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারব।’
রিকার্ভ ইভেন্টের আর্চার আবদুর রহমান আলিফ (আর্চারির র্যাঙ্কিংয়ে ৭১তম) বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক ভালোমানের আর্চার এসেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারত থেকে এসেছে অনেকে। অভিজ্ঞতায় তারা হয়তো এগিয়ে থাকবে, আমাদেরও আত্মবিশ্বাস আছে দেশকে ভালো কিছু এনে দেওয়ার। আর্চারি একটি নির্দিষ্ট দিনের খেলা, র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান যা-ই হোক না কেন, যে সেরাটা মেলে ধরতে পারবে, সেই সেরা হবে।’
কম্পাউন্ড ইভেন্টের আর্চার বন্যা আক্তার (র্যাঙ্কিংয়ে ৮৫তম) বলেন, ‘কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখের অধীনে আমরা এতদিন অনুশীলনে যে পরিশ্রম করেছি, আমাদের জন্য সে পরিশ্রমের ফল তুলে আনার উপলক্ষ এ আসর। সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়ে আমরা চেষ্টা করব।’ জাতীয় আর্চারি দলের প্রধান কোচ মার্টিন ফ্রেডরিখ বলেন, ‘আর্চারদের প্রতি আমার আস্থা আছে। ব্যাংককের গত আসরে আমরা কোনো পদক পাইনি। এ নিয়ে হতাশা আছে ওদের মধ্যে। এবার ভালো ফল করতে ওরা উন্মুখ হয়ে আছে।’
বাংলাদেশ ২০১৭ ও ২০২১ সালেও এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে। আরও একবার সফলভাবে এ প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে চায় আর্চারি ফেডারেশন।