কুমিল্লার মুরাদনগরে মাছ চুরির সন্দেহে দুই যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুই গ্রাম্য বিচারকের বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই গ্রাম্য বিচারক আব্দুল হাকিম ও ইকরামুল হককে শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর গ্রামের আব্দুস সালাম মিয়ার পুকুর থেকে মাছ চুরির সন্দেহে একই গ্রামের সামু সেন ও আরমান মিয়া নামের দুই যুবককে আটক করা হয়। পরে পুকুর মালিক আব্দুস সালাম মিয়া স্থানীয় গ্রাম্য মাতবর আবদুল হাকিম ও ইকরামুল হকের কাছে এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বিচারপ্রার্থী হন। ওই দুই গ্রাম্য মাতবর মাছ চুরির সন্দেহে সামু সেন ও আরমান মিয়াকে ধরে এনে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাছে বাঁধা অবস্থায় মারধরে দুই যুবককে রক্তাক্ত করা হয়। মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ঘটনার ৭ দিন পর বৃহস্পতিবার নির্যাতনের শিকার সামু সেনের স্ত্রী পঞ্চমী রানী সেন বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পাহাড়পুর ইউপির চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ মাঝি জানান, গ্রেপ্তার গ্রাম্য বিচারক আবদুল হাকিম ও ইকরামুল হক দুজন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তাই এদের কঠোর বিচার হওয়া উচিত।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত দুই গ্রাম্য মাতবরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আশফাক