চাঁদা না দেওয়ায় একটি সন্ত্রাসী চক্রের ইন্ধনে চারবারের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা পিংকি আক্তারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, চক্রটি উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা অভিযোগ তুলে মব সৃষ্টি করে পিংকি আক্তারকে তাঁর অফিসে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং জোর করে তাঁর সম্পদ লিখে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করেছে। মঙ্গলবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচায় মব সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানান পিংকি। পিংকি জানান, ১০ বছর আগে কলেজছাত্রী থাকা অবস্থায় ৫০০ মুরগি দিয়ে তাঁর ব্যবসার শুরু। এরপর একে একে হাঁসের খামার, মাছের খামার, কৃষি খামার, ফ্যাশন হাউস, বিউটি পারলার, এজেন্ট ব্যাংকিং, ল্যান্ড ও হাউজিং ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। নাম রেখেছেন ‘প্রয়োজন গ্রুপ’। চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থবিরতার কারণে তাঁর ব্যবসায়ও কিছুটা প্রভাব পড়ে। এ সুযোগ নিয়ে একটি অসাধু চক্র নানাভাবে তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। কোনোভাবে সুবিধা করতে না পেরে সম্প্রতি তাঁর কাছে ১৫ লাখ টাকা চাদা দাবি করে। এতেও ব্যর্থ হয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালায় এবং মব সৃষ্টি করে। পিংকি অভিযোগ করেন, উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁর ব্যবসায়িক ক্ষতি করা হয়েছে।
যারা তাঁর প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে, তাঁর সম্মানহানি করেছে তিনি তাঁদের বিচার দাবি করেন। পিংকি আক্তার বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক কষ্টে প্রয়োজন সমবায় সমিতিসহ নয়টি প্রতিষ্ঠান চালু করেছি মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য। কিছুদিন আগে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চাঁদাবাজ চক্রের।
তারা প্রতিষ্ঠানগুলো আত্মসাৎ করতে না পেরে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সম্প্রতি ওই চক্রের লোকেরা ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। দিতে অস্বীকার করায় সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। স্থানীয় কিছু সহজসরল মানুষকে ভুল বুঝিয়ে মব সৃষ্টি করে আমার বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান লুট, অফিস ভাঙচুর, সিসি ক্যামেরাসহ অতিপ্রয়োজনীয় কাগজপত্র ধ্বংস করে দেয়। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’