সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর ওপর যেকোনো সময় সামরিক হামলা চালানোর সক্ষমতা রয়েছে রাশিয়ার। তবে, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়া যুদ্ধে ব্যস্ত থাকায় সে সক্ষমতা সীমিত আকারের বলে উল্লেখ করেছেন, জার্মান সামরিক কর্মকর্তা।
এক সাক্ষাৎকারে জার্মান যৌথ সামরিক অভিযান কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আলেকজান্ডার সলফ্রাংক বলেন, রাশিয়ার বর্তমান সামরিক সক্ষমতা বিবেচনা করলে, তারা আগামীকালই ন্যাটো অঞ্চলে দ্রুত ও সীমিত আঞ্চলিক হামলা শুরু করতে পারে।
আলেকজান্ডার সলফ্রাংক ২০২৪ সালে থেকে জার্মান যৌথ অপারেশন কমান্ডের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি ন্যাটোর নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও সমন্বয়ের সঙ্গেও জড়িত।
সলফ্রাংক বলেন, রাশিয়া হামলা করলে এটি হবে ছোট পরিসরের। কারণ তারা এখনও ইউক্রেনে ব্যাপকভাবে জড়িত।
সলফ্রাংক সতর্ক করেছেন, রাশিয়া যদি অস্ত্র উৎপাদন বাড়াতে থাকে, তবে ২০২৯ সালের মধ্যে ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে বৃহৎ আকারের আক্রমণ চালানোর সামর্থ্য অর্জন করতে পারে।
তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেছেন, মস্কোর কোনো আক্রমণ করার পরিকল্পনা নেই। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান ছিল ন্যাটো সম্প্রসারণের হুমকির বিরুদ্ধে রক্ষামূলক পদক্ষেপ।
সলফ্রাংক জানান, ইউক্রেনে কিছু সামরিক বিপর্যয় সত্ত্বেও রাশিয়ার বিমানবাহিনী এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী। তাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী একেবারেই আগের অবস্থায় রয়েছে। রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর নৌবহর উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তবে অন্যান্য নৌবহর অক্ষত রয়েছে।
সলফ্রাংক বলেন, রাশিয়ার কাছে পর্যাপ্ত যুদ্ধট্যাঙ্ক রয়েছে। আগামীকালই সীমিত আক্রমণ করতে সক্ষম। তবে, এই ধরনের আক্রমণের পরিকল্পনা বর্তমানে করা হচ্ছে কি না তা উল্লেখ করেননি তিনি।
ন্যাটো (NATO) হলো নর্থ আটলান্টিক ট্রিয়িটি অরগানাইজেশন অর্থাৎ উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা। এই সামরিক জোট ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সদস্য দেশগুলোকে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তায় সহযোগিতা নিশ্চিত করতে। ন্যাটো বর্তমান নিজেদের ভূখণ্ডের প্রতিরক্ষার দিকে নজর দিচ্ছে।
ন্যাটো সম্প্রসারণকে রাশিয়া নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করে। বিশেষ করে পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সামরিক ঘাঁটি বৃদ্ধি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব সীমান্ত এলাকায় সামরিক উপস্থিতি ও অস্ত্র বৃদ্ধি করেছে রুশ সেনাবাহিনী।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন