সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন হাই কোর্ট। এ দুজনের জামিন আবেদনের শুনানির পর বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিন ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে কেন তাদের স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ফজলুর রহমান ও আইনজীবী এম আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া। মঞ্জুরুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সারা হোসেন, রমজান আলী শিকদার ও আইনজীবী প্রিয়া আহসান চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
জামিন আদেশের পর আইনজীবী জেড আই খান পান্না সাংবাদিকদের বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এবং সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন হাই কোর্ট। তবে জামিনের লিখিত আদেশটি আগামী রবিবার দেবেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ যদি এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে না যায় তাহলে তাদের মুক্তিতে বাধা থাকবে না। গত ২৮ আগস্ট লতিফ সিদ্দিকী, শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, মঞ্জুরুল আলম পান্নাসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আটকের ১২ ঘণ্টার বেশি সময় পর গত ২৮ আগস্ট দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
গত ২৯ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও মনজুরুল আলম পান্নার জামিন আবেদন নাকচ করার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর ফের তাদের জামিন নাকচ করা হয়। এরপর তারা দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সেখানে জামিন আবেদনটি নাকচ হলে হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তারা।