মেহেরপুরে বিএনপির দুটি সংসদীয় আসনে দলীয় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির জেলা মহিলা দল মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনের মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। রাত ৯টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রোমানা আহম্মেদ। এতে অংশ নেন জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি সাবিহা সুলতানা, জেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজমুন নাহার রিনা, পৌর বিএনপির ৪ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি সালমা খাতুন, আমঝুপি ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ডের নেত্রী এবং অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য কর্মীরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে যারা মনোনয়ন দিয়েছেন, তাদের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। মেহেরপুর-১ আসনের জনগণ যোগ্য ও জনপ্রিয় প্রার্থী চায়, দলীয় কোন্দল নয়। দলকে শক্তিশালী করতে হলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে, নয়তো সংগঠনের ঐক্য নষ্ট হবে।
এদিকে, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে পৃথক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে। গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে উপজেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে পুনঃমনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দাল হক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, মহিলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লাইলা আরজুমান বানু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, দুঃসময়ে দলের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাভেদ মাসুদ মিল্টন। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখেন। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে এ আসনে মিল্টনকেই প্রার্থী করা প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, মেহেরপুর-২ আসনে বর্তমানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে এই আসন বিএনপির দখলে ছিল। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব গুরুত্ব বুঝে মনোনয়ন দিয়েছে। অযথা হাঙ্গামা করে মনোনয়ন বাতিল করা যাবে না।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল