দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের বিরুদ্ধে তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশল পুনরায় চালু করে। এই নীতির আওতায় রয়েছে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ, আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার নিরুৎসাহিত করাসহ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। এর উদ্দেশ্য তেহরানকে আলোচনায় ফেরানো ও নীতিগত পরিবর্তনে বাধ্য করা।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরান সম্প্রতি জানতে চেয়েছে, তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র তুলে নিতে পারে কি না।
বৃহস্পতিবার রাতে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইরান জিজ্ঞাসা করছে, নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার করা যেতে পারে কি না। ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তাদের ইচ্ছেমতো কাজ করতে চাওয়া কঠিন করে তুলেছে।
এ বিষয়ে ট্রাম্প ইতিবাচক বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, আমরা দেখব কী করা যায়, আমি বিষয়টি নিয়ে শুনতে আগ্রহী ও 'খোলা মনে' থাকব।
এদিকে গত সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যে হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন ও আঞ্চলিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এ কার্যক্রম চালিয়ে গেলে ওয়াশিংটনকে তেহরানের কোনো সহযোগিতা করা সম্ভব হবে না।
ট্রাম্প প্রশাসন তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়নের সম্ভাবনা থেকে বিরত রাখতে নানা নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক চাপ চালিয়ে যাচ্ছে। গত জুনে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাও চালায়।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ পর্যন্ত পারমাণবিক ইস্যুতে পাঁচ দফা আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে গত জুনে ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলো। পশ্চিমা দেশগুলো চায়, সম্ভাব্য অস্ত্রায়নের ঝুঁকি ঠেকাতে ইরানের মাটিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শূন্যে নামিয়ে আনা হোক। কিন্তু তেহরান তা প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
সূত্র: রয়টার্স
বিডি-প্রতিদিন/এমই