কাতারে হামলার পর হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে আরও হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, তারা ‘যেখানেই থাকুক না কেন’ কোনও রকম সুরক্ষা পাবেন না।
জেরুজালেমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রতিটি দেশেরই ‘নিজস্ব সীমার বাইরে গিয়েও আত্মরক্ষার অধিকার’ রয়েছে।
কাতারে জ্যেষ্ঠ হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের হামলা আন্তর্জাতিক ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ নিয়ে সমালোচনা করেছেন। হামাস জানায়, এই হামলায় ছয়জন নিহত হলেও শীর্ষ নেতারা বেঁচে গেছেন।
হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ভূমিকা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একাই করেছি। শেষ।
ওদিকে আরব নেতারা কাতারের প্রতি সংহতি জানাতে সম্মেলন করেছেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় মার্কিন-ইসরায়েল সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না- এ প্রসঙ্গে রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার উপসাগরীয় মিত্রদের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কাতারে একটি বড় মার্কিন বিমান ঘাঁটি আছে এবং দেশটি গাজা যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় মধ্যস্থতাকারীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
রবিবার নেতানিয়াহু সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক পশ্চিমা প্রাচীরের পাথরের মতোই স্থায়ী।
ওদিকে ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির পশ্চিমাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই বহু আবাসিক ভবন ধ্বংস করা হয়েছে। প্রায় আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি দক্ষিণে পালিয়ে গেছেন বলে দাবি ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর। তবে আরও কয়েক লাখ মানুষ শহরে রয়ে গেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, দক্ষিণ গাজাও নিরাপদ নয়। কারণ সেখানেও ইসরায়েলি বিমান হামলা হয়েছে। কেউ কেউ দক্ষিণে গিয়ে তাঁবু ফেলতে না পেরে আবার গাজা সিটিতে ফিরে এসেছেন। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/একেএ