বাড়ছে আমের মৌসুম বা সময়। সারা বছর আম পাওয়ার কারণে থাকছে না মৌসুমি বাধা। ফলে সব সময় হাটে-বাজারে মিলছে বারি-৪, রাবি-১১, কাটিমন, গৌরমতী জাতের আম। ফলে আমবাগান আর নির্দিষ্ট মৌসুমের অপেক্ষায় থাকছে না। প্রযুক্তির কল্যাণে এখন প্রায় সারা বছর আম পাওয়া যাচ্ছে। ভোক্তা চাইলে বছরের যে কোনো সময় আমের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে। কৃষি অফিস সূত্র জানাচ্ছেন, ‘সারা বছর পাওয়া যাচ্ছে এমন আম আরও চাষের জন্য চাষিদের নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। এ ছাড়া আমের বাজার চড়া থাকায় দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।’ তবে দাম বেশি হওয়ায় এ সময় নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে এ আম।
জানা গেছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বেশ কিছু উপজেলায় এসব জাতের আমের চাষ হচ্ছে। তবে এ জেলাগুলোয় কাটিমন আমের চাষ তুলনামূলক বেশি হচ্ছে। এর বাইরে অন্য জেলাগুলোয় বাণিজ্যিকভাবে সারা বছর পাওয়া যাবে এমন আমের চাষ তেমন হচ্ছে না। তবে কিছু কিছু জেলার উপজেলায় বারি-৪, বারি-১১, কাটিমন জাতের আম চাষ হচ্ছে। আগামীতে আমের চাষ আরও বৃদ্ধির কথা বলছেন কৃষি কর্মকর্তারা। চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগে কাটিমন আমের তেমন কদর ছিল না। কিন্তু নাবি জাত হওয়ায় এবং ব্র্যান্ডিং জাতের আম না থাকায় আশ্বিনা আমের জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। অতিরিক্ত খরচ করে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে চাষ করা হচ্ছে আশ্বিনা আম। কাটিমন বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা মণ দরে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ছালমা খাতুন বলেন, রাজশাহী জেলায় ৯০ হেক্টর জমিতে কাটিমন আমের চাষ হয়েছে। বছর বছর বাড়ছে এ আমের চাষ। চাষিরাও কাটিমন আম চাষ করে ভালো টাকা পাচ্ছেন। এ আমের গাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সব সময় মুকুল দেওয়ার ক্ষমতা। তাই পরিচর্যার মাধ্যমে এ আমের মুকুল গাছে টেকানো সম্ভব। ফলে সারা বছর আম পাওয়া সম্ভব।