কঠিনচীবর দান উৎসব ঘিরে উৎসবে মেতেছে পাহাড়বাসী। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে রাঙামাটি রাজবন বিহারের ৪৯তম এ উৎসব। এটি বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের প্রধান সামাজিক উৎসব। তাই এ উৎসব ঘিরে রয়েছে নানান আয়োজন। শহরের রাজবন বিহারে এখন সাজ সাজ রব। লাল, নীল বাতি আর রঙিন কাগজে সাজানো হয়েছে পুরো বিহার এলাকা। গতকাল বেলা ৩টায় আনুষ্ঠানিকভাবে রাঙামাটি রাজবন বিহারের বেইন ঘরে এ কঠিনচীবর দান উৎসবের সূচনা করেন বেগম পদকপ্রাপ্ত নারী উদ্যোক্তা মঞ্জুলিকা খীসা। এর আগে বেইন ঘর পরিদর্শন করেন এবং ধর্মীয় দেশনা দেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বৌদ্ধ ভিক্ষু বনভান্তের প্রধান শিষ্য প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। এদিকে কঠিনচীবর দান উৎসব ঘিরে রাঙামাটিতে বসেছে হরেকরকম মেলা। আনন্দে মেতেছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালিরা। রাঙামাটির প্রায় ১০টি উপজেলা থেকে নামছে পুণ্যার্থীর ঢল। ঢাকা ও চট্টগ্রামের দর্শনার্থীরাও এ উৎসবে শামিল হয়েছেন। এতে হাজার হাজার মানুষের পদচারণে উচ্ছ্বসিত এখন পাহাড়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় জনপদে ‘কঠিনচীবর দান’ শব্দটি গৌতম বুদ্ধের সময় থেকে প্রচলিত। গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা বিশাখা এ কঠিনচীবরটি প্রথম তৈরি করে গৌতম বুদ্ধকে উৎসর্গ করেন। সে থেকে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা এ কঠিনচীবরের রীতি ধরে রেখেছেন। তাই প্রতি বছর প্রবারণা পূর্ণিমা উৎসবের মধ্য দিয়ে তা এ কঠিনচীবর দান উৎসব পালন করেন।
উৎসব চলবে দুই দিন। আজ শুক্রবার এর শেষ দিন। এ উৎসব ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে রাঙামাটি জেলা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘উৎসব চলাকালীন কোথাও যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। একই সঙ্গে শহরেও টহলে আছে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। পাহাড়ি বাঙালি সবাই যাতে এ উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’