জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত জামালপুর-১ আসন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিসহ তিন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। দেশের অধিকাংশ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে বিএনপির একাধিক প্রার্থী মাঠে নামলেও এ আসনে ঘটেছে ব্যতিক্রম। এ আসনে বিএনপিসহ সব দলই একক প্রার্থী নিয়ে মাঠ চষছে।
জামালপুর-১ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে এককভাবে ভোটের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য নাজমুল হক সাঈদী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বকশীগঞ্জ উপজেলার সভাপতি মাওলানা আবদুল মজিদ এবং গণঅধিকার পরিষদের বকশীগঞ্জ উপজেলার আহ্বায়ক শাহরিয়ার আহম্মেদ সুমন। নির্বাচনি তৎপরতায় এখন পর্যন্ত আর কোনো দলকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ‘নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জামালপুর (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) উপজেলার ভোটাররা আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন, এটা আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি। কারণ দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ উপজেলার মানুষ বিগত ১৬টি বছর ধরে সব ধরনের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে দুই উপজেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ছাড়াও বেকারত্ব নিরসনে ভারী শিল্পকারখানা স্থাপন করব। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে লোকসানে থাকা জিলবাংলা সুগার মিলকে লাভে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়ন করব।
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী নাজমুল হক সাঈদী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে নির্বাচনের আগেই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ আমাদের যে পাঁচ দফা দাবি এবং জুলাই সনদকে আইনিভাবে বাস্তবায়ন আগে করতে হবে। বিশ্বের অন্তত ১০০টি দেশে পি আর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাই আমাদের দেশে যাতে পুনরায় ফ্যাসিবাদী সরকার তৈরি না হয়, সংবিধানকে নিজের প্রয়োজনে ইচ্ছামতো পরিবর্তন বা সংস্কার করা না যায়, সেজন্য আমরা পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চেয়েছি।’