ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে ছয় বছর আগে হাই কোর্টের দেওয়া ৯ দফা নির্দেশনা আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন ও পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ১১ বিবাদীকে এ নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল এ-সংক্রান্ত এক সম্পূরক আবেদনে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি উর্মি রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন। এ ছাড়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী মো. শাহজাহান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইজীবী খসরুজ্জামান এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুরশিদ আক্তার। ঢাকার বায়ুদূষণ রোধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)-এর পক্ষে ২০১৯ সালে জনস্বার্থে রিট আবেদন করা হয়। প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছর ২৮ জানুয়ারি রুলসহ আদেশ দেন হাই কোর্ট। ঢাকা শহরে বায়ুদূষণের কারণ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সপ্তাহে দুবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বায়ুদূষণ নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিবেদন করে। এসব প্রতিবেদনে ঢাকার রায়ুদূষণে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা উল্লেখ রয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে হাই কোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা প্রয়োজন। এমন তাগিদ থেকে সম্পূরক আবেদনটি করা হয়েছিল। শুনানির পর হাই কোর্ট আদেশ দেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে ৯ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন উচ্চ আদালত।’ আগামী ৩০ নভেম্বর এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের তারিখ রাখা হয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।