সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনা ও জলাধার সংরক্ষণের উদ্দেশে দেশের কিছু অঞ্চলকে ‘পানি সংকটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। গতকাল পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পানি আইনের ধারা ১৭ অনুযায়ী পানি সংকটাপন্ন এলাকার সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার উদ্দেশে জলাধার বা পানি ধারক স্তরের সুরক্ষার জন্য যথাযথ অনুসন্ধান, পরীক্ষানিরীক্ষা বা জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিছু এলাকা পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের উত্তর-পশ্চিম হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার ২৫টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়ন অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন, ৪০টি ইউনিয়ন উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এবং ৬৬টি ইউনিয়ন মধ্যম মাত্রার পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার পটিয়া পৌরসভার পাঁচটি মৌজা অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এবং তিনটি মৌজা উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের সাতটি মৌজা অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন, নয়টি ইউনিয়নের ২৭টি মৌজা উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এলাকা এবং আটটি ইউনিয়নের ৩০টি মৌজা মধ্যম পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
পানি সংকটাপন্ন এলাকায় বেশ কিছু নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পানি আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩ ও ১৮ অনুযায়ী পানি সম্পদের অগ্রাধিকার ভিত্তিক ব্যবহার যথাযথভাবে অনুসরণ, খাবার পানি ছাড়া অন্য কোনো কারণে নতুন করে নলকূপ স্থাপন ও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ রাখা এবং খাবার পানি সরবরাহ ছাড়া অন্য কোনো কারণে বিদ্যমান নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ রাখা এবং ভূগর্ভস্থ পানিনির্ভর শিল্প বা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না ইত্যাদি। মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এসব নির্দেশনা প্রতিপালন করা বাধ্যতামূলক। নির্দেশনা লঙ্ঘন বাংলাদেশ পানি আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৯ এর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ধারা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ বলেও গণ্য হবে।