বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সুস্পষ্ট ঘোষণা পাইনি। পেলে তারপর আমরা মতামত জানাব।’ জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদের খসড়া জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে সব রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়েছিল। জুলাই সনদের যেসব সুপারিশ ঐকমত্যের ভিত্তিতে সবাই গ্রহণ করেছে, সেগুলো একত্র করে জুলাই সনদ প্রণীত হবে, সেটা বলা আছে। এ সনদে যেসব সুপারিশ থাকবে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য দুই বছরের একটি সময়সীমা ওনারা প্রস্তাব করেছেন। ঐকমত্য কমিশন এ ব্যাপারে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি চেয়েছিল। আমরা সেই অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছি। এটা বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান, আইন ও বিধিবিধানের যেসব সংশোধনী প্রয়োজন হবে, সেগুলো আমরা করার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, যেটা তারা চেয়েছেন। এই হিসেবে সেটা বাস্তবায়ন হবে।’ গতকাল চট্টগ্রামের হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার মহাপরিচালকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনে বিএনপি কোনো বাধা দেখছে না বলে সাংবাদিকদের উদ্দেশে জানান জাতীয় স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘যেহেতু বাধা দেখছি না, সেহেতু এটা না-ও হতে পারে, সেই দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আমরা অপেক্ষা করছি, আশা করব শিগগিরই সরকার এ ব্যাপারে তাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য নিয়ে আসবে এবং নির্বাচন কমিশনকে সেই অনুযায়ী পরামর্শ দেবে।’ এর আগে হাটহাজারীতে পৌঁছে সেখানে হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির মাওলানা শাহ আহমদ শফী ও জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জিয়ারত করেন বিএনপির এই দুই নেতা। পরে মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি খলিল আহমেদ কাশেমী এবং শায়খুল হাদিস শেখ আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। হাটহাজারী মাদরাসায় জুমার নামাজ শেষে ফটিকছড়ির বাবুনগর আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া আজিজুল উলুম মাদরাসায় হেফাজত ইসলামের আমির মাওলানা শাহ মুহিববুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রওনা হন বিএনপির এই দুই নেতা।
এ সময় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ, সরোয়ার আলমগীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, জাসাস চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম, ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক আজিম উল্লাহ বাহার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।