বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সংস্কার সম্পন্ন করা জরুরি। আগামী বছর নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। আর নতুন সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের সাবেক কূটনীতিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফরমার অ্যাম্বাসাডরস (এওএফএ) বাংলাদেশের সঙ্গে ইইউর সম্পর্ক নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এওএফএর সভাপতি আবদুল্লাহ আল হাসান।
মাইকেল মিলার বলেন, আমি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ঘুরেছি। সেখানে তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা এবং আকাঙ্ক্ষা লক্ষ করেছি। বাংলাদেশের সামনে এখন তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণের সময় এসেছে। তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, উন্নয়ন সহযোগীসহ সব পক্ষের এক সঙ্গে কাজ করা উচিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন রাজনৈতিক উত্তরণের দিকে এগোচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বদ্ধপরিকর। গণতন্ত্রে উত্তরণে অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন হওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই রাজনৈতিক ঐকমত্য দরকার।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। তবে এ জন্য বাংলাদেশে স্থিতিশীল পরিবেশ থাকা খুবই জরুরি। কেননা যে কোনো বিনিয়োগকারী তার বিনিয়োগের সুরক্ষার পাশাপাশি একটি স্থিতিশীল পরিবেশ চায়।
বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি মানবাধিকার, উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা। ভবিষ্যতেও আমরা এ বিষয়গুলোতে আরও জোরালোভাবে কাজ করে যাব। ইইউ সব সময় বাংলাদেশ থেকে বৈধ অভিবাসন প্রত্যাশা করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের দক্ষ ও আধা দক্ষ শ্রমিক পাঠানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
মাইকেল মিলার বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ইইউ তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এ সমস্যার একমাত্র সমাধান মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। তবে এ প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে।