জুলাই সনদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আসছে নভেম্বরেই গণভোট আয়োজন করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন আর গণভোট যাতে একই দিনে না হয় সে দাবিও তুলেছেন তাঁরা। গতকাল দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এ আহ্বান জানায় দলটি।
৩০ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আটটি দল গতকাল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে পৃথক স্মারকলিপি দিয়েছে। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে নভেম্বরে গণভোট, উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত আরপিও বহাল রাখা এবং সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা। গতকালের বৈঠক শেষে নির্বাচন ভবনে জামায়াত নেতা হালিম বলেন, ‘সিইসির সঙ্গে দেখা হয়েছে। বর্তমান আলোচিত বিষয় হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ। সনদে ২৫টি রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করেছে। ইসিকে আমরা বলেছি, গণভোট নভেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। সংশোধিত আরপিও নিয়ে কোনো কোনো দল সংশোধনী আনতে বলেছে। আমরা বলেছি, আরপিও হুবহু বহাল রাখতে হবে।’ জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। আট দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আগামী ৩ তারিখ নতুন কর্মসূচি দেওয়া হবে। সিইসি আমাদের কথা শুনেছেন। দাবি বিবেচনার ক্ষেত্রে উনাদের ভূমিকার কথা বলেছেন।’ এদিকে, স্মারকলিপি দিতে গতকাল সকাল থেকেই নির্বাচন ভবনের সামনে আসতে শুরু করে আট দলের নেতা-কর্মীরা।
সব দলের নেতা-কর্মীদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় ইসি কর্মকর্তাদের। তারা স্মারকলিপি দেওয়ার কথা বলে নির্বাচন ভবনে এসে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করার দাবি তোলেন। প্রত্যেকটি দল আলাদা করে বৈঠকের দাবি জানালে ইসি কর্মকর্তারা প্রত্যেকটি দলের কয়েকজন করে প্রতিনিধিকে নির্বাচন ভবনে প্রবেশের অনুমতি দেন। পরে তাদের সবার সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন।