প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে, কুয়াশা বাড়ছে, বাড়ছে হিমেল হাওয়া তাই দিনাজপুরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের তীব্রতায় সূর্য মাঝে মাঝে দেখা মিললেও আলোর তেজ কমে গেছে। এতে বেশী শীত অনুভুত হচ্ছে। শীতের তীব্রতায় অনেক স্থানে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিতে দেখা গেছে।
শনিবার সূর্য্য দেখা গেলেও মেঘলা আকাশ থাকায় আলোর লুকোচুরিতে তেজ কমায় কনকনে শীত অনুভুত হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। রাতে ঘনকুয়াশা পড়তে দেখা গেছে এবং কুয়াশাও বাড়ছে। শনিবার সকালে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীত ও কুয়াশার বাড়ার সাথে সরিষা ও গম চাষীরা চিন্তায় পড়েছে। শীতের কারণে গমের গাছ বাড়ছে না। ঝিম ধরে আছে। তবে কৃষি বলছে বর্তমানে যে শীত ও কুয়াশা তাতে চাষের তেমন ক্ষতি হবে না ।
সূর্য্য উঠলে কুয়াশা কাটলেও রোদের উত্তাপ কম অনুভুত হচ্ছে। গরম কাপড় ছাড়া কেউ বের হতে পারছেন না। দুপুরেও শীতের কাপড় মুড়িয়ে চলাফেরা করতে হয়। বেলা বাড়ার সাথে রোদের তীব্রতা বাড়লেও বিকাল গড়াতেই তাপমাত্রা কমার সাথে হিমেল হাওয়ায় শীত বাড়তে থাকে। অনেক স্থানে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের তাপ নিতে দেখা গেছে। সন্ধার পর থেকে ধীরে ধীরে কুয়াশা বাড়তে থাকে এবং ভোররাত থেকে তীব্র কুয়াশা দেখা যায়। এই শীতের প্রকোপ বাড়ায় নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষের কাজ কমে যাওয়ায় আয় কমেছে এবং কষ্টও বাড়ছে। শীতের কারণে শিশু ও বৃদ্ধ বয়সের মানুষের বিভিন্ন জ্বর-সর্দিসহ শারিরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, দিনাজপুরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। শীতের প্রকোপ বাড়ছে। শনিবার তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আদ্রতা ৯০ শতাংশ হওয়ায় বাতাসে কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩-৪ কিলোমিটার, তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ৮-১০ কি.মি. পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এএ