বগুড়া সদরে তাজবীর রহমান (১৫) নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার বারপুর উত্তরপাড়া একটি কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে তার ব্যবহত বাইসাইকেল পাওয়া যায়নি।
নিহত তাজবীর সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের দশটিকা গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে। সে বারোপুর সোনাপাড়ায় গ্রীল ওয়ার্কশপে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
পুলিশের ধারণা, গত সোমবার রাতের কোন একসময় দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে তাজবীরকে হত্যা করেছে। তার শরীরে একাধিক স্থানে ছুরকাঘাত করা হয়েছে। তাজবীরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত তাজবীরের মা মুক্তা বেগম জানান, প্রতিদিন ওয়ার্কশপে কাজ শেষে রাত ৮ টার মধ্যেই সে বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরে। সারারাতেও তাজবীর বাড়ি আসেনি। রাতেই ওয়ার্কশপের মালিক ও আত্মীয় স্বজনদের কাছে খোঁজ করেছিলাম কিন্তু কেউ কোন তথ্য দিতে পারেননি। মঙ্গলবার সকালে থানায় জিডি করতে যাওয়ার সময় একটি লাশ উদ্ধারের খবর পাই। এসে দেখি আমার ছেলে তাজবীরের লাশ । আমার ছেলের কারও সাথে কোন ঝগড়া ছিল না। জানিনা কেন তাকে মারল। আমি সুষ্ঠু বিচার চাই।
ওয়ার্কশপ মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, তাজবীর গত দুই বছর যাবত আমার প্রতিষ্ঠানে কাজ করে আসছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কাজ শেষে বাইসাইকেল নিয়ে সে বের হয়ে যায়। পরে রাত ১টার দিকে তার মা ফোন দিয়ে জানায় তাজবীর এখনও বাড়ি ফেরেনি। তাজবীর খুব ভালো ছেলে ছিল।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, মঙ্গলবার সদরের বারপুর-দশটিকা এলাকার কবরস্থানে কিশোরের মরদেহ পাওয়া গেছে। ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে শুধু বাইসাইকেল ছিনতাই নাকি অন্য কোন কারণে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে তদন্ত শেষে জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এএম