রাঙামাটির সাজেকে হামে আক্রান্ত হয়ে আরেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ জনে। মৃত শিশুর নাম-গেরাটি ত্রিপুরা (৯) । সোমবার সকালে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের লুংঠিয়ান পাড়ায় এঘটনা ঘটে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সাজেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ১০৭জন।
সাজেক ইউনিয়নের শিয়ালদহ মৌজার স্থানীয় হেডম্যান (গ্রাম প্রধান) জৈপুতাং ত্রিপুরা জানান, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের লুংঠিয়ান পাড়ায় গেরাটি ত্রিপুরা নামের শিশুটি কিছুদিন ধরে হাম রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ ছিল। বেশ কিছু দিন বিনা বিনা চিকিৎসা থাকায় শিশুটির অবস্থার অবনতি হয়। যদিও ২দিন ধরে রাঙামাটি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল টিম তাদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে শিশুটি ভোর রোতে মারা যায়। শুধু তাই নয় ওই গ্রামে বর্তমানে খতি রানি ত্রিপুরা (১৩) ও মহেন ত্রিপুরা (৮) নামে আরও দুই শিশু মুমর্ষ অবস্থায় রয়েছে। তাদেরও অবস্থাও তেমন ভালো না।
এব্যাপারে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ জানান, আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ২টি মেডিকেল টিম বিছিন্নভাবে ঝুঁকিপূর্ণ গ্রামগুলোতে চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আহসান হাবিব জিতু জানান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসন হামে আক্রান্ত শিশুদের জন্য ৫০হাজার টাকা আর্থিক সাহার্য্য প্রদান করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাজেকের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কাইচ্যাপাড়া, লুংঠিয়ান, অরুণ পাড়া ও ৮নং ওয়ার্ডের নিউ থাংনাং পাড়ায় প্রায় ১১৬জন শিশুহাম রোগে আক্রান্ত হয়। এ পর্যন্ত এ রোগে প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৭জন শিশু। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ১০৯জন শিশু। তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে কাজ করছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ২টি মেডিকেল টিমের মাত্র ৯জন স্বাস্থ্য কর্মী।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার