করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থাকে কাজে লাগিয়ে ফড়িয়া ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারণে দিনাজপুরে প্রান্তিক কৃষকেরা শসা চাষ কওে লোকসানের মুখে পড়েছেন। তাই এ থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের ঝাড়বাড়িতে দুই শতাধিক কৃষক মানববন্ধন করেছেন।
শসার চাহিদা রয়েছে এবং বাম্পার ফলন হলেও খরচ তোলা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কৃষকরা। সোমবার সকালে বীরগঞ্জের বড় জয়রাম বাজারে শত শত কৃষক রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে অনেক কৃষক বলেন, বীরগঞ্জের বড় জয়ারাম বাজারে প্রতিদিন ১২/১৫ ট্রাক শসা কিনে পাইকার-ফড়িয়ারা ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে নিয়ে যায়। অথচ তারা মন্দা বাজারের দোহাই দিয়ে ৫২ কেজির এক বস্তা শসার দাম মাত্র ৩০/৪০টাকা দেয়। এতে আমাদের লেবার-ভ্যান ভাড়া দিয়ে কিছু থাকে না। আমরা লাভের আশায় শসা চাষ করে এখন পথে বসতে হবে।
কয়দিন আগেও ২ টাকা কেজি শসা বিক্রি করলেও দিন দিন পাইকাররা দাম কমিয়ে দিচ্ছে। শসা প্রতি দুইদিন পর পর উঠিয়ে বিক্রি করতে হবে। বিক্রি করতে না পারলে উৎপাদিত শসা নষ্ট করে দেওয়া ছাড়া গতি থাকবে না। তাই আজ জমি থেকে শসা উঠাইনি এবং বিক্রিও কেউ করিনি।
বীরগঞ্জ উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ২০০ একর জমিতে প্রায় ৩০০ কৃষক এই শসা চাষ করেছেন। এবার শসার বাম্পার ফলনও হয়েছে।
কৃষক শাকিল হোসেন জানান, এবার শসা চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৪ বিঘা জমিতে আবাদ করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু দাম নাই। অথচ ৪ বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন