পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার আগুনমুখা নদীতে স্পিড-বোট দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহতের ঘটনায় দুই জনকে আসামি করে মেরিন কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে স্পিড-বোট পরিচালনাকারী ও এস.পি.বি বেনজীর আহমেদ-১ স্পিডবোটের ড্রাইভারকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা মো. সাদিকুর রহমান জানান, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা, যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ না করা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পারাপারসহ একাধিক অপরাধে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে নৌ-দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন- রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. মহিব্বুল্লাহ ও কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আশা ব্যাংকের বাহেরচর খালগোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন, দিনমজুর মো. ইমরান ও মো. হাসান মিয়া। তাদের সবার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে জেলার মুল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাঁবালী উপজেলার কোড়ালিয়া ল ঘাট থেকে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি ল ঘাট যাওয়ার সময়ে আগুনমুখা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পরে তলা ফেটে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে স্পীডবোট এসপিবি বেনজীর আহমেদ-১ ডুবে যায়।
খবর পেয়ে অন্য স্পিড-বোট ও মাছধরা ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাসমান অবস্থায় ১২ জনকে উদ্ধার করলেও ৫জন যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনার ৪০ ঘণ্টা পর শনিবার সকালে আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর
