নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ্বের জেরে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলের বাড়িতে ককটেল নিক্ষেপ, গুলি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৪ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবু নাছের চৌধুরী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন, বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আবু নাছের চৌধুরীর বাড়ির খাদিজা বেগম রুমা (৪৫), যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ গোলাম হোসেন চৌধুরী রাফেল (৩৯) কামরান পাশা মঞ্জিল (২৭)।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আজম পাশা চৌধুরী রুমেল অভিযোগ করেন, কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিবাদমান দ্বন্দ্বের জেরে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা সজল, মারুফ ও কেচ্ছা রাসেল নেতৃত্বে শতাধিক অস্ত্রধারী বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অতর্কিত ভাবে আমাদের বাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি ছুড়লে ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ছাড়া ৪টি বিল্ডিংয়ের থাই গ্লাস ও একটি টেনশেড ঘর ভেঙে দেয় কাদের মির্জার অনুসারীরা। এ সময় ১০-১১টি বোমার বিস্ফোরণ ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ার আওয়াজে এলাকায় নৈরাজ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এ বিষয় জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এই জন্য তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ এক নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত ৪টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রুমেল চৌধুরী এ ঘটনার জন্য কাদের মির্জার অনুসারীদের দায়ী করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন