জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি সংস্থা আইএইএ (আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা)-র গোপন নথি সংগ্রহ করেছে ইরান—এমন অভিযোগকে সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি ‘খারাপ ও দুঃখজনক সিদ্ধান্ত’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এমন কাজ আইএইএ ও তেহরানের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার চেতনার সঙ্গে যায় না।
গত ৩১ মে আইএইএ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে দেওয়া একটি গোপন প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরান ‘সংস্থাটির অতি গোপনীয় নথি সক্রিয়ভাবে সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করেছে’—এমন অকাট্য প্রমাণ সংস্থার হাতে রয়েছে।
এই ঘটনায় তেহরানের আচরণ নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইএইএ। তাদের মতে, এর ফলে ইরানে সংস্থার কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ইরান এ অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং দাবি করেছে, কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই এ অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সোমবার আইএইএ সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রোসি বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বুঝতে পেরেছি, সংস্থার নিজস্ব নথি ইরান সরকারের হাতে চলে গেছে—এটি ভালো কিছু নয়। এমন আচরণ পারস্পরিক আস্থাভিত্তিক সহযোগিতার অনুকূল নয়।
গ্রোসি আরও জানান, এসব নথির মধ্যে সংস্থার নিজস্ব মূল্যায়ন ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে সংবেদনশীল তথ্য রয়েছে। তিনি বলেন, এই নথিগুলো ইসরায়েল থেকে পাওয়া নয় বরং সংস্থার নিজস্ব বা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছ থেকে পাওয়া।
উল্লেখ্য, আইএইএ’র ৩৫ সদস্যবিশিষ্ট বোর্ড বর্তমানে ত্রৈমাসিক বৈঠকে বসেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি একটি প্রস্তাব উত্থাপন করতে যাচ্ছে, যেখানে ইরানকে পরমাণু অস্ত্র না ছড়ানোর আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে।
এই প্রস্তাবটি পাশ হলে ইরানের বিরুদ্ধে আরও কূটনৈতিক চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও তেহরান বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল