ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে বিএনপি, জামায়াত, নাগরিক ঐক্য ও গণঅধিকার পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েছেন।
এ আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন- বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মীর শাহে আলম, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার ডা. ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল। জামায়াতে ইসলামী জেলা জামায়াতের শুরা সদস্য ও সাবেক এমপি অধ্যক্ষ মাওলানা শাহাদাতুজ্জামানের নাম ঘোষণা করেছে। এ ছাড়া এ আসনে অপর সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- নাগরিক ঐক্যের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না, শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান মতিন, গণঅধিকার পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ও শিবগঞ্জ উপজেলার সদস্যসচিব সেলিম সরকার রেজা। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা মিছিল, সভা-সমাবেশ করছেন। জামায়াতের একক প্রার্থী থাকায় ফুরফুরে মেজাজে আছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। জামায়াতের প্রার্থী শাহাদাতুজ্জামান নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। নেতা-কর্মীরাও তার পক্ষে চালাচ্ছেন প্রচারণা। শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম ছুটছেন গ্রাম থেকে গ্রামে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাড়ামহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন। বিএনপির আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ডা. ফিরোজ মাহমুদ ইকবাল এলাকায় সভা-সমাবেশ করছেন। নাগরিক ঐক্যের নেতা-কর্মীদের দাবি, মাহমুদুর রহমান মান্না প্রার্থী হলে ভোটের হিসাব পাল্টে যাবে। তিনি তার অতীত রাজনৈতিক ঐতিহ্য নিয়ে মাঠে নামবেন। বিএনপি নেতা মীর শাহে আলম বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি প্রার্থী হবেন। দুর্নীতি নির্মূল, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, স্বনির্ভরতা ও মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি কাজ করবেন বলে জানান।
মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান বলেন, তিনি পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন। এলাকার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। জামায়াত থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। জনগণ তাকে চাইছেন।
এম আর ইসলাম স্বাধীন বলেন, তিনি ১৯৮৩ সালে ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন। ২০২২ সালে বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি হন। তিনি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী।