স্বাস্থ্য সংস্কারের দাবিতে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের মারধর করে বের করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনরতরা। স্বাস্থ্য সংস্কারের তিন দফা এবং একই সঙ্গে তাদের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে কর্মসুচি পালন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন রনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টার দিকে ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টি শুরু হলে ফটকের সামনে অবস্থান নেওয়া অনশনরত শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দেয় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের ধাওয়ায় অনশনরত শিক্ষার্থীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফটক থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় চার শিক্ষার্থীকে মারধর করতেও দেখা গেছে। এর মধ্যে দুজনকে মারধর করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এ কে এম মুশিউল মুনীর বলেন, নিরাপদ কর্মস্থলের দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কারণ তারা ভীতিকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে পারবে না। তাদের অনুরোধ করে কর্মবিরতি থেকে ফেরানো হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আতঙ্ক নিয়ে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। এমনকি তারা হাসপাতাল থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছেন।
এদিকে, বিকালে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন রনি বলেন, হাসপাতালের পোশাক পরে মব সৃষ্টির উদ্দেশ্যে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে অনশনকারী স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এদিকে বুধবার রাতে স্বাস্থ্য সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ শিক্ষার্থীরা নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। বিএম কলেজের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল জেলার সাবেক আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পাঠানো প্রতিনিধি দল এবং হাসপাতালের পরিচালকের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ৩০ কার্যদিবস সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিত করেছি।