বেতন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের নেতাকর্মীরা। আজ বুধবার বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বেতন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
বৈষম্যহীন নবম পে স্কেল প্রদান, সরকারি কর্মচারী হিসেবে ন্যূন্যতম জীবনমান বজায় রেখে জীবনধারণের নিমিত্ত বিভিন্ন ভাতাসমূহ যৌক্তিক হারে নির্ধারণসহ সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন দাবি পে কমিশনের কাছে উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সহ-সভাপতি আশফাকুল আশেকীন, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী আবু সাঈদ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দারোদোমুয়াজ আশু, নির্বাহী সদস্য ফেরদৌস আহমেদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের দাবিসমূহ প্রস্তাব আকারে পে কমিশনে উপস্থাপন করেন। ১:৫ অনুপাতে সর্বনিম্ন ৩০০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৫০০০০ টাকা মূল বেতন নির্ধারণ, বার্ষিক ১০% হারে বেতন বৃদ্ধি, চিকিৎসা ভাতা ৬০০০ টাকা নির্ধারণ, মূল বেতনের ৯০% হারে বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ, গ্রেড সংখ্যা ২০টি থেকে কমিয়ে ১৫টি নির্ধারণ, সার্ভিস বেনিফিট বহাল রাখা, যাতায়াত ভাতা ৪০০০ টাকা নির্ধারণ, টিফিন/লাঞ্চ ভাতা দৈনিক ২০০ টাকা নির্ধারণ, টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড প্রবর্তন, রেশন সুবিধা চালুসহ ১৫টি দাবি উপস্থাপন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের দাবি এবং প্রতিনিধি দলের বক্তব্য পে কমিশন মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং দাবিসমূহ যৌক্তিক মর্মে মতামত ব্যক্ত করেন। পে কমিশনের সদস্যগণ দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা আমলে নিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের দাবিসমূহ বিবেচনার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রথম সারির যে কয়টি কর্মচারী সংগঠন সরকারি কর্মচারীদের দাবি আদায়ে মাঠে থেকে দীর্ঘদিন ধরে শান্তপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদ। বৈষম্যহীন পেস্কেল প্রদানে আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার পে কমিশন গঠন করেছে। দ্রুত সময়ে পে স্কেল প্রদানের জন্য কমিশন রাত দিন কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক জানান, আমরা আশাবাদী পে কমিশন সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক দাবিসমূহ আমলে নিয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বৈষম্যহীন নবম পে স্কেল ঘোষণা করবে। এই কমিশন ঘোষিত পে স্কেল হবে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ম্যাগনাকার্টা স্বরূপ। এই পে স্কেলের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীগণ দীর্ঘ দিনের বৈষম্য, হতাশা, অভাব থেকে মুক্তি পাবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত