সংশোধিত শ্রম আইনে বিদেশি বিনিয়োগ কমবে। শিল্পে অস্থিরতা বাড়বে। আইন কার্যকর হলে উৎপাদন ব্যাহত হবে। বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় দেশের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রপ্তানির বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং দেশের অর্থনীতি দুর্বল হবে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, শিল্পের সমস্যা সমাধানে ৪০ বিলিয়ন ডলারের খাতের প্রতিনিধিরা চার মাস ধরে সময় চেয়েও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি। অথচ ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সহসভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। গতকাল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত নুরুল কাদের অডিটোরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ), বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. শাহরিয়ার, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদ, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির (বাপি) সিইও মেজর জেনারেল (অব.) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান (বাবলু), সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহসভাপতি (অর্থ) মিজানুর রহমান, সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী প্রমুখ। তিন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। দাবিগুলো হলো-‘বাংলাদেশ শ্রম আইন সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫’ পুনর্বিবেচনা, চট্টগ্রাম বন্দরের দক্ষতা উন্নয়ন ও এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন তিন বছর পিছিয়ে দেওয়া।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চার মাস ধরে সময় চেয়েও বিজিএমইএ সাক্ষাৎ পায়নি অভিযোগ করে মাহমুদ হাসান খান বলেন, আমরা চার মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চেয়েও পাইনি। স্টারলিংকের কোম্পানি স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এলে তার সঙ্গে দেখা করেন। যে কোম্পানি ১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। অথচ তিনি ৪০ বিলিয়ন ডলারের খাতের প্রতিনিধির সঙ্গে দেখা করেন না। বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, মাত্র ২০ জন শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের সুযোগ পেলে দেশের পোশাক খাত অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। নানান সমস্যায় গত এক বছরে দেশে ২৫৮টি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে।
আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর লাভজনক অবস্থায় আছে। এ বন্দরে মাশুল বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই করা হয়েছে। বন্দরের খরচ বাড়লে ব্যবসায়ীরা টিকতে পারবেন না।
মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা কি ব্যবসা-বাণিজ্য দেখব, নাকি আইনকানুন দেখব। সরকার আমাদের থেকে বিদেশিদের কথা বেশি শুনে। সরকার বন্দরের মাশুল একেবারে ৪১ শতাংশ না বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করে বাড়াতে পারত।