জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংস্কারের বিপক্ষে কেউ দাঁড়ায় বা ইতিহাসে দায়ভার রয়েছে এমন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এনসিপির জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। গতকাল রাজশাহীর পর্যটন মোটেল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। নাহিদ বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত কোনো জোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। যদি সিদ্ধান্ত নিতে হয়, অবশ্যই একটি নীতিগত জায়গা থেকে আসবে। যদি সংস্কারের বিপক্ষে কেউ দাঁড়ায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের যে নতুন আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে তার বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, সে ধরনের কোনো শক্তির সঙ্গে বা যাদের ইতিহাসের অনেক দায়ভার রয়েছে এরকম কোনো শক্তির সঙ্গে জোটে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের অনেকবার ভাবতে হবে। আমরা একটা নতুন রাজনৈতিক শক্তি, জনগণের অনেক প্রত্যাশা আমাদের কাছ থেকে এবং আমরাও নিজেদের স্বাতন্ত্র্য নিয়ে দাঁড়াতে চাই।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, জুলাই সনদ স্বাক্ষর করতে আমরা অপেক্ষা করছি। জুলাই সনদ আদেশ বাস্তবায়ন হবে, গণভোট হবে। গণভোটের মাধ্যমে ড. ইউনূস এই আদেশ স্বাক্ষর করবেন। রাষ্ট্রপতি এই আদেশ স্বাক্ষর করতে পারবেন না। বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে আদেশ সাংঘর্ষিক হবে। কোনো ধরনের নোট অব ডিসেন্ট থাকলে আমরা সেটিতে স্বাক্ষর করব না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই নির্বাচনের দিকে যেতে হবে। শাপলা প্রতীকের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচন ও রাজনৈতিক কার্যক্রম ব্যাহত করতে এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। শাপলা না দেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের স্বেচ্ছাচারিতা। রাজনৈতিকভাবে যদি আদায় করতে হয় তাহলে রাজপথের মাধ্যমে আদায় করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে বিচারের প্রক্রিয়ায় আছে ট্রাইব্যুনালে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক কোনো দল নয়। তারা চেষ্টাই করবে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন বৈদেশিক শক্তিও চেষ্টা করবে। জাতীয় পার্টির বিচার দাবি করে নাহিদ বলেন, জাতীয় পার্টি এখন আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করছে। প্রকাশ্যে বলছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া নাকি নির্বাচন হবে না। এই সাহস তারা কীভাবে পায়? সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।