বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাইবার সিকিউরিটি সচেতনতা মাস-২০২৫ এর সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত ফ্যালকন হলে এই সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন) এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘প্রধান অতিথি তার সমাপনী বক্তব্যে মাসব্যাপি অনুষ্ঠিত বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, এই মাসটি শুধু বিমান বাহিনীর সদস্যদের নয়, তাদের পরিবার ও বৃহত্তর সমাজকেও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় সম্পৃক্ত করেছে।
তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা তিনটি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে-মানুষ, প্রক্রিয়া এবং প্রযুক্তি। এর মধ্যে ‘মানুষ’ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তি যতই উন্নত হোক, সচেতন ও সতর্ক ব্যবহারকারী ছাড়া তা কার্যকর হয় না। প্রতিটি ক্লিক, প্রতিটি সিদ্ধান্ত আমাদের নিরাপত্তা নির্ধারণ করে।
অনুষ্ঠানে সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি অংশীদার প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দের উপস্থিতিতে সাইবার সচেতনতা ও প্রতিরোধ গঠনের লক্ষ্যে গৃহীত নানা উদ্যোগ তুলে ধরা হয়। এই সচেতনতামূলক প্রচারণায় ছিল কর্মকর্তা, বিমানসেনা ও তাদের পরিবারের জন্য বিশেষ ব্রিফিং, শিক্ষামূলক পোস্টার ও বুকলেট বিতরণ এবং ইন্টার্যাকটিভ সেশন।
উল্লেখ্য, দেশের সকল শাহীন স্কুলে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ১৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর কাছে সাইবার সচেতনতার বার্তা পৌঁছানো, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সাইবার সচেতন করে গড়ে তোলার পথে একটি বড় পদক্ষেপ।
বিমান বাহিনী প্রধানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একটি সাইবার প্রতিরক্ষা রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে, যা দেশের নিরাপদ, স্মার্ট ও সার্বভৌম সাইবারস্পেস গঠনের জাতীয় কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই রোডম্যাপ সরকার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পখাতের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেয়। দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিশ্চিত করতে বিমান বাহিনী তাদের প্রশিক্ষণ কাঠামোর প্রতিটি স্তরে সাইবার সচেতনতা অন্তর্ভুক্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যাতে প্রতিটি সদস্য ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ডিজিটাল হুমকির বিষয়ে সচেতন থাকে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এস. এম. শামীম রেজা, যিনি ‘ডিজিটাল যুগে ভুল তথ্য, অপপ্রচার ও সামাজিক মাধ্যমের প্রভাব’ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তার বক্তব্যে ডিজিটাল আচরণে দায়িত্বশীলতা ও সমালোচনামূলক চিন্তার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ এবং বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।’
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত