অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘সাংবাদিকতা জীবন খুব মিস করি। সাংবাদিকদের দেখলেই ফেলে আসা দিনের কথা মনে পড়ে। ভাগ্য আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে’। তিনি বলেন, ‘অভিনেতা না হলে সাংবাদিকতা করতাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই সাংবাদিকতা শুরু করি। পরে অভিনয়ে চলে আসি। খুবই উপভোগ করতাম সাংবাদিকতা।’ অতীত স্মৃতি ঘেঁটে মাহফুজ বলেন, ‘আমি তখন কলেজে পড়ি, কুমিল্লা শহরে। এক মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতাম। হঠাৎ এক দিন দেখি, ওরা বদলি হয়ে অন্য শহরে চলে যাচ্ছে। গাড়িতে জিনিসপত্র তুলছে। সেই ছিল শেষ দেখা। তারপর আর কখনো দেখা হয়নি। মেয়েটিকে মনে মনে পছন্দ করতাম, সেও আমাকে করত।’ তিনি জানান, গ্রামের সঙ্গে এখনো তার নিবিড় যোগাযোগ। গ্রামকে খুব ভালোবাসেন তিনি। তার কথায়- ‘নিয়মিত বাড়ি যাই। সেখানে থাকলে প্রতিদিন গ্রামের মানুষের সঙ্গে দেখা করতে বের হয়ে পড়ি। এতে এক ধরনের শান্তি পাই।’ তার কথায়, ‘গ্রামের সবচেয়ে বেশি মিস করি বাতাস। রাতে হাঁটার সময় এক ধরনের বাতাস বইত। কেউ কেউ বলে পূবালী বাতাস, কেউ বলে বাউলা বাতাস। এখন আর সেই বাতাস পাই না, খুব মিস করি।’ মাহফুজ বলেন, ‘ভালো মানুষ হওয়াটা খুব দরকার। এটা প্রতিটি মানুষের জন্য। মানুষ একবারই জন্ম নেয়, আর মরে গেলে আর ফিরে আসে না। কিন্তু ভালো মানুষদের সবাই মনে রাখে। আমি মারা যাওয়ার পর যদি সবাই বলে, মাহফুজ আহমেদ ভালো মানুষ ছিলেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আর কিছু চাই না।’