দীর্ঘ ১৬ মাস পর বাংলাদেশে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বরের শেষ দিকে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় আসবেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে পিটার ডি হাস দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকে শূন্য ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদ। এর পর থেকে চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স দিয়ে ঢাকার দূতাবাস পরিচালনা করে আসছে মার্কিন প্রশাসন। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেনকে মনোনয়ন দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে কাউকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরে অনুমোদনের জন্য সিনেটে পাঠানো হয়। সিনেটে শুনানি শেষে অনুমোদন দিলে নতুন রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রবিষয়ক সিনেট কমিটিতে শুনানিতে অংশ নেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের ওয়েবসাইটে এ শুনানি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছেন, সিনেট অনুমোদন দিলে নভেম্বরের শেষ নাগাদ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় আসবেন ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন। তিনি ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে রাজনৈতিক ও অর্থনীতিবিষয়ক কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব ছেড়ে ঢাকা ত্যাগ করেন পিটার ডি হাস। সেদিনই চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স হিসেবে হেলেন লাফেভকে দূতাবাসের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১ নভেম্বর হেলেন লাফেভকে সরিয়ে দূতাবাসের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেগান বোলডিনকে। তিনি চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১১ জানুয়ারি মেগান বোলডিনকে সরিয়ে বর্তমান চার্জ দি অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এদিকে ২০২৪ সালের ৯ মে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের স্থলাভিষিক্ত হিসেবে ডেভিড স্লেটন মিলকে মনোনয়ন দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রদূত হিসেবে মিলের মনোনয়ন বাতিল করেন।