চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ও প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়ার যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ‘এবিসিডি অফ ইমার্জেন্সি কেয়ার কোর্স’ প্রশিক্ষণ নিলেন ৫০ জন চিকিৎসক।
সোমবার দুপুরে হাসপাতালের ক্যান্সার ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত সমাপনী দিনে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়। হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মাহাদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা, ডা. একেএম ফজলুল হক, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মো. জাহিদুল হাসান, ট্রেজারার অধ্যক্ষ লায়ন ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তানভীর, মোহাম্মদ আবুল হাশেম, দাতা সদস্য ইঞ্জি. মো. জাবেদ আবছার চৌধুরী, মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল প্রফেসর অসীম কুমার বড়ুয়া, পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক, পরিচালক (মেডিকেল অ্যাফেয়ার্স) ডা. একেএম আশরাফুল করিম, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. শেফাতুজ্জাহান প্রমুখ।
দুই দিনব্যাপী এই কর্মশালায় কোর্স কো-অর্ডিনেটর ছিলেন ডা. রাইক রিদওয়ান, মোস্তাক চৌধুরী ও ডা. এজেড এম আহসান উল্লাহ। কর্মশালায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সি ও আইসিইউতে কর্মরত ৫০ জন চিকিৎসক অংশ গ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি অংশ গ্রহণকারী চিকিৎসকদের মধ্যে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। সকাল থেকে স্ট্রোক দিবস উপলক্ষে অনেকগুলো প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। স্ট্রোক রোগীদের জন্য ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্ল্যানেটারি হেলথ একাডেমিয়া ও চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালাটি নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে ইমার্জেন্সি চিকিৎসকরা তাদের চিকিৎসা সেবা ও জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করতে পারবেন। এর মাধ্যমে আমাদের নবীন চিকিৎসকরা তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও টেকনোলজিতে আরও সমৃদ্ধ হতে পারবেন। এটি ইমার্জেন্সি রোগীদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ইমার্জেন্সি ডাক্তারদের আরও যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলবে। এখানে যারা অংশ গ্রহণ করেছেন এই প্রশিক্ষণ তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ও প্রতিষ্ঠানে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই