জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে টিউশনিতে যাওয়ার পথে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
রবিবার রাতে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে মুঠোফোনে এসব কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, আমি কি বলব ভাষা নেই! এমন জঘন্য কাজও করতে পারে এসময়কার কোনো ছেলে তা কল্পনায়ও ছিল না। এ মুহূর্তে আমি থানায় জিডি করতে এসেছি। আমি চাই, এ বখাটে দ্রুত আইনের আওতায় আসুক এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক। যেন আর কেউ এমন ঘটনার শিকার না হয়।
সাধারণ ডায়েরি থেকে জানা যায়, গেন্ডারিয়া থানাধীন ১১৯/ডি/৩, ডিস্টিলারি রোড এলাকার মো. নাসির হোসেনের বাসায় ওই শিক্ষার্থী এক শিশুকে প্রাইভেট পড়ান। রবিবার রাত আনুমানিক ৭টা ৫০ মিনিটে ওই বাসায় পড়াতে যাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করতে থাকে। বাসার সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় ওই ব্যক্তি তার পথরোধ করে মোবাইল নম্বর চান। নম্বর দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি নিজেকে ‘সিফাত’ বলে পরিচয় দেন।
সাধারণ ডায়েরি থেকে আরও জানা যায়, সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে থাকলে ওই ব্যক্তি পেছন থেকে ভুক্তভোগীর হাত চেপে ধরে। প্রতিবাদ করলে সে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। ভুক্তভোগী চিৎকার করলে অভিযুক্ত দ্রুত পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে।
এ বিষয়ে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগী নিজেই এসে থানায় অভিযোগ করেছেন। আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তকে ওই যুবককে দ্রুত শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, আমি বিষয়টি শুনেই সাথে সাথে গেন্ডারিয়া থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। পুলিশ আশ্বস্ত করেছে দ্রুত ওই ব্যক্তিকে আটক করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে এ ঘটনা জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে জড়ো হয়ে গেন্ডারিয়া থানার সামনে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। একইসাথে অভিযুক্ত যুবককে আটকের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কিছুক্ষণ থানার সামনে অবস্থান নেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল