রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্তে কমিটি গঠিত হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটিতে ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এম আসাদুল হক এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সময়ের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে চতুর্থ দিনেও অনশন করেছেন নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেক রহমান। এসে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ফুয়াদ রাতুল।
তারা বলেন, শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অডিও ক্লিপ প্রকাশ হয়েছে। সেটা ফরেনসিক টেস্টেও সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। অথচ প্রশাসন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অবিলম্বে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিচার চাই।
এর আগে, গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন রাহাত। তবে তিনি মৌখিক পরীক্ষার (ভাইভা) জন্য মনোনীত হননি। ফলে চাকরিতে অর্থনৈতিক লেনদেনের অভিযোগ তোলেন এবং উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। এছাড়া অভিযোগের কপি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টার কার্যালয়সহ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে ডাকযোগে পাঠানো হয়। একই সঙ্গে বিভাগের সভাপতি মীর মেহবুব আলমের সঙ্গে তার নিয়োগ-সংক্রান্ত আড়াই মিনিটের একটি ফোনালাপের রেকর্ড সংযুক্ত করা হয়।
রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে নিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। সভাপতি ফোনালাপটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে তৈরি দাবি করে অভিযোগ অস্বীকার করেন। এ ঘটনার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (আরইউটিএএ) সভাপতি হোসাইন মারুফ রেকর্ড ফরেনসিক টেস্টের উদ্যোগ নেয় এবং এ আবেদনের প্রেক্ষিতে ১১ অক্টোবর রেকর্ডের ফরেনসিক টেস্ট করে সত্যতা পায় বিআইএফপিএস।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত