দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ২০১৫ সালে সব ধরনের কার্যক্রম শুরু করে ময়মনসিংহ। সব ধরনের কার্যক্রমে অংশ নিলেও ব্রহ্মপুত্রপাড়ের দলটি দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেনি কখনো। এবারই প্রথম খেলছে জাতীয় ক্রিকেট। খেলছে ঢাকা মেট্রোপলিটনের পরিবর্তে। ঢাকা মেট্রোপলিটনকে এবার জাতীয় ক্রিকেট থেকে বাদ দিয়েছে বিসিবি। অথচ দলটি গত দেড় দশক ধরে নিয়মিত খেলেছে জাতীয় ক্রিকেটে। দলটির বদলে জাতীয় ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে ময়মনসিংহের। সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুভাগত হোমের নেতৃত্বে ময়মনসিংহের অভিষেক হয়েছে সিলেটের বিপক্ষে। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করে দলটির ক্রিকেট ইতিহাসে নাম লেখেন আরিফুল ইসলাম। ২০ বছর বয়সি আরিফুল দলের বিপর্যয়ে সহ-অধিনায়ক আবদুল মজিদের সঙ্গে জুটি গড়ে ১২৭ রান যোগ করেন। মজিদ ৬৫ রান করেন। আরিফ খেলেন ১০১ রানের ইনিংস। দুজনের জুটিতে ভর করে জাতীয় ক্রিকেটে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে ময়মনসিংহ প্রথম দিন পার করেছে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান করে।
আট দলের জাতীয় ক্রিকেট লিগ শুরু হয়েছে গতকাল। ২৭তম জাতীয় ক্রিকেটে এবারও নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সবাই ব্যস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ নিয়ে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২টি টেস্ট ও ৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলবে। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত থাকবেন সেই সিরিজে। সেজন্য হয়তো ৬ ডিসেম্বর শুরু জাতীয় ক্রিকেটের শেষ রাউন্ডে খেলবেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। স্পন্সরবিহীন জাতীয় ক্রিকেটে গতকাল খেলা হয়েছে সিলেটের দুই মাঠ এবং রাজশাহী ও খুলনায়। খুলনায় মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম ও রাজশাহী। শুরুতে ব্যাট করে চট্টগ্রাম প্রথম দিনে অলআউট হয়েছে ৮২.৩ ওভারে ৪০১ রানে। দলটির পক্ষে জোড়া সেঞ্চুরি করেন ওপেনার মাহামুদুল হাসান জয় ও মিডল অর্ডারে ইয়াসির আরাফাত রাব্বি। এ ছাড়া ৭২ রানের ইনিংস খেলেন ইরফান শুক্কুর। জয় খেলেন ১৬৫ বলে ১৫ চার ও ২ ছক্কায় ১২৭ রানের ইনিংস। ইয়াসির ১২৯ রান করেন ১৩৮ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কায়। সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন। রাজশাহীর পক্ষে তাইজুল ইসলাম ১৫৯ রানের খরচে নেন ৪ উইকেট। ব্যাটিংয়ে নেমে রাজশাহী ১ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে।
এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, আফিফ হোসেনদের নিয়ে খুলনা ৮৫ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১২ রান তুলে দিন পার করেছে। সৌম্য ৩৭, এনামুল ৩০, আফিফ ০ রান করেন। অধিনায়ক জিয়াউর রহমান ৯১ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৬৯ এবং জীবন ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। সিলেট আউটার স্টেডিয়ামে মার্শাল আইয়ুবের ১০৫ রানের পরও ২২১ রানে অলআউট হয় ঢাকা। মার্শাল সেঞ্চুরির ইনিংসটি খেলেন ১৬১ বলে ১৩ চারে। জবাবে রংপুর বিভাগ ২ উইকেটে ৬৫ রান তুলে দিন পার করেছে।