পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মাঝে জেগে ওঠা এক নান্দনিক দ্বীপ ‘চর বিজয়’। এরই মধ্যে দ্বীপটিতে দৃশ্যমান হয়েছে ম্যানগ্রোভসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এ যেন প্রকৃতির নতুন এক রূপ। এক নিরিবিলি, নির্মল রূপকথার রাজ্য। বিস্তৃত বালুময় চর বিজয়ে বিস্তার ঘটেছে সৌন্দর্যের। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দ্বীপটিতে সুফল প্রকল্পের আওতায় সৃজন বাগান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সময় রোপণ করা হয় ঝাউ, ধানশী, সুন্দরী, ছইলা কেওড়াসহ বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছের চারা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে এ দ্বীপে। জানা গেছে, ২০১৭ সালে দ্বীপটির সন্ধান মেলে। তখন এর নাম ‘চর বিজয়’ রাখা হয়। যদিও গভীর সমুদ্রে মাছ ধরা জেলেদের কাছে এটি ‘হাইরের চর’ নামে পরিচিত। প্রতিদিনই পর্যটকরা ছুটে যাচ্ছেন দ্বীপটির সৌন্দর্য দেখতে। বর্ষায় এটি পানির নিচে থাকলেও শীত ও গ্রীষ্মকালে পুরোপুরি দৃশ্যমান। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এ দ্বীপ এখন পর্যটকদের নতুন গন্তব্য। এ যেন এক পর্যটকদের ভাষ্যমতে, এ দ্বীপে লাল কাঁকড়া আর পাখির রাজত্ব। একই সঙ্গে সবুজে সেজেছে ম্যানগ্রোভ জাতীয় ছোট ছোট গাছের চারা আর ঘাস। স্বচ্ছ জলে সামুদ্রিক মাছের ছোটাছুটি। এসব দৃশ্য দেখে নিমেষেই সারা দিনের ক্লান্ত মনকে ভরিয়ে দেয়। তবে এ দ্বীপে নেই কোনো দোকানপাট কিংবা বাড়িঘর। রেঞ্জ কর্মকর্তা এ কে এম মনিরুজ্জামান বলেন, চর বিজয়ে বনায়ন হলে অতিথি পাখির অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে উঠবে।