তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আবারও বগুড়া-৬ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন। কোনো কারণে তিনি যদি প্রার্থী না হন, তাহলে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসন থেকে দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা চাইছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেন প্রার্থী হন। দলীয় সূত্র বলছে, বিষয়টির ওপর পুরো নজর রয়েছে দলের। এ আসনের ব্যাপারে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্তই হবে চূড়ান্ত। বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীর বিপরীতে এ আসনে এবার বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেল প্রার্থী হয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্যানুযায়ী, বেগম খালেদা জিয়া প্রত্যেকবারই বগুড়া সদর থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রায় ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে প্রতিবারই তিনি জয়লাভ করেছেন। এ কারণে বগুড়ার নেতা-কর্মীরা মুখিয়ে আছেন নেত্রীর ভোট করার জন্য। স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, সদর আসনকে ভিভিআইপি আসন বলা হয়ে থাকে। কারণ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ আসন থেকে প্রার্থী হয়ে থাকেন। আসনটি বিএনপির শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সবাই চান বেগম খালেদা জিয়া অথবা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেন এ আসনে প্রার্থী হন। তাই অন্য কোনো নেতা এখানে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে কিছু বলতে চান না। এরপরও কোনো কারণে তাঁরা প্রার্থী না হলে স্থানীয় নেতারা বিএনপির টিকিট চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে তারা আশা করছেন, এই আসনে জিয়া পরিবারের সদস্যরাই প্রার্থী হবেন। জামায়াতে ইসলামী থেকে এ আসনে একক প্রার্থী হিসেবে বগুড়া শহর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এর পর থেকে তিনি ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নেতা-কর্মীদের নিয়ে ভোটারদের কাছে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়, গণসংযোগ, পথসভা, উঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ আসনের জন্য নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি ও অন্যান্য দলের প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এ আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারেন অনেকে। তারা হলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট এ কে এম মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাবেক এমপি গোলাম মো. সিরাজ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম।