শরীরে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করতে পানি অত্যন্ত উপকারী। মানবদেহের প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ অংশই পানি দিয়ে গঠিত। জীবনধারণের জন্য পানি একেবারেই অপরিহার্য। দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, হজম প্রক্রিয়া সহজ করা, রক্ত সঞ্চালন ও কোষের পুষ্টি পরিবহনসহ নানা কারণে পানি পানের বিকল্প কল্পনা করাই যায় না। তবে গবেষণা বলছে বেশি পানি পানে রয়েছে কিডনির ক্ষতির আশঙ্কা।
হার্ভার্ডের এক গবেষণা বলছে, বেশি পানি পান শরীরের জন্য ভালো নয়। কিডনি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত পানি ফিল্টার করতে পারে। সাধারণত এক ঘণ্টায় কিডনি প্রায় ০.৮–১ লিটার পর্যন্ত পানি প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম। এর বেশি হলে কিছু ক্ষতি দেখা দিতে পারে--
১. কিডনির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে:
পানি বেশি পান করলে কিডনিকে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পানি ফিল্টার করতে হয়, ফলে কোষে চাপ পড়ে এবং দীর্ঘমেয়াদে কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
২. ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য নষ্ট হয়:
অতিরিক্ত পানি রক্তে সোডিয়াম ও অন্যান্য খনিজ পদার্থকে পাতলা করে ফেলে (হাইপোনাট্রেমিয়া), যা কিডনির কাজের গতি ব্যাহত করে।
৩. কোষে ফোলা ও ক্ষতি:
পানি বেশি হলে কোষে অতিরিক্ত তরল ঢুকে কোষ ফুলে যায়। এটি কিডনির টিস্যুকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, একজন সুস্থ পুরুষের জন্য দৈনিক প্রায় ৩.৭ লিটার বা প্রায় ১৩ কাপ তরল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একজন সুস্থ নারীর জন্য দৈনিক প্রায় ২.৭ লিটার বা প্রায় ৯ কাপ তরল পান করার পরামর্শ রয়েছে। তবে পানির পরিমাণ নির্ভর করে শরীরের, ওজন, শারীরিক পরিশ্রম, তাপমাত্রা ও আবহাওয়ার ওপরে। এসব বিষয়ের সঙ্গে ব্যক্তিভেদে পানি পানের পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।
সূত্র: হেলথলাইন, হার্ভার্ড