বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়কের পদ এখনো শূন্য। বোর্ড চাইছিল নাজমুল, হোসেন, শান্ত আবার দায়িত্ব নিক। কিন্তু বিসিবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
গত জুনে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব থেকে শান্তকে সরিয়ে দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সে সময়ই তিনি টেস্টের অধিনায়কত্ব ছাড়েন। এরপর থেকে লাল বলের দলের নেতৃত্বে নেই কেউ।
বোর্ডের পক্ষ থেকে সম্প্রতি শান্তকে আবারও টেস্ট অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তিনি তাতে রাজি হননি। এমনটাই জানা গেছে, ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে।
গত বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডে শেষে শান্তর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল, আবেদীন, ফাহিম। বোর্ড চেয়েছিল তিনি সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন, কিন্তু শান্ত নিজের অবস্থান থেকে সরেননি।
বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘শান্ত এই মুহূর্তে নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী নয়, বিষয়টি আমাদের জানিয়ে দিয়েছে।’
বর্তমানে বাংলাদেশ দল চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে। এরপর সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নামবে ফিল, সিমন্সের, শিষ্যরা। ওই সিরিজের আগেই নতুন টেস্ট অধিনায়ক ঘোষণা করতে চায় বোর্ড।
শান্ত রাজি না হওয়ায় বোর্ডের প্রথম পছন্দ এখন লিটন, কুমার, দাস। বর্তমানে তিনি টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বোর্ড টেস্ট অধিনায়কত্ব নিয়ে লিটনের সম্মতির অপেক্ষায় আছে।
ওয়ানডে অধিনায়ক মেহেদী, হাসান, মিরাজও টেস্টের দায়িত্বে আগ্রহী ছিলেন বলে জানা গেছে। তবে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৩ ওয়ানডে খেলে জিতেছে মাত্র তিনটিতে। ফলে লাল বলের দলের দায়িত্ব তাঁর হাতে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।
এদিকে বিসিবি সভাপতি আমিনুল, ইসলাম, বুলবুল জানিয়েছেন, টেস্ট অধিনায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। তিনি বলেন, “তিন সংস্করণে তিনজন অধিনায়ক বাধ্যতামূলক নয়। বোর্ড, নির্বাচক ও কোচিং স্টাফদের আলোচনাতেই সিদ্ধান্ত হবে—দলের জন্য যা সেরা মনে হয় সেটিই করা হবে।”
তিন সংস্করণে তিন অধিনায়কের নীতি বজায় থাকলে টেস্ট নেতৃত্বের আলোচনায় আছেন তাইজুল, ইসলাম ও মুমিনুল, হক। এর আগে তাইজুল প্রকাশ্যে বলেছেন, তিনি টেস্টে নেতৃত্ব দিতে চান। মুমিনুলও জানিয়েছেন, বোর্ড প্রস্তাব দিলে তিনি দায়িত্ব পুনর্বিবেচনা করবেন।
সূত্র: ক্রিকবাজ
বিডি প্রতিদিন/আশিক