উইকেটে যখন এসেছেন ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ৫। পরের ৩ উইকেট যেতেও ইংল্যান্ডের খুব বেশি সময় লাগেনি। দলীয় ৫৬ রানেই হারায় ষষ্ঠ উইকেটে। ম্যাট হেনরি, জাকারি ফোকসদের সামনে তখন দাঁড়ানোই কঠিন। এমন ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে একাই লড়লেন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক। তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে রবিবার বাংলাদেশ সময় সকালে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। এদিন একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে দলের ব্যাটারদের আসা-যাওয়া দেখলেও একটুও বিচলিত হলেন না ইংল্যান্ড অধিনায়ক। উল্টো বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে জেমি ওভারটনকে নিয়ে গড়লেন প্রাথমিক প্রতিরোধ। পরে দায়িত্ব খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ১০১ বলে ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ব্রুক। অন্য প্রান্তের ব্যাটাররা তেমন কিছু করতে না পারলেও, ৯ চারের সঙ্গে ১১টি ছক্কায় দলকে বিপদমুক্ত করেন অধিনায়ক।
কিউইদের মাঠে সফরকারী ব্যাটারের এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি ছক্কা আছে শুধু থিসারা পেরেরার। ২০১৯ সালে ৭৪ বলে ১৪০ রান করার পথে ১৩টি ছক্কা মেরেছিলেন লঙ্কান পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এছাড়া মার্কাস স্টয়নিসেরও আছে ১১ ছক্কার ইনিংস।
ব্রুকের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৫৬ থেকে শেষ পর্যন্ত ২২৩ রানের পুঁজি পেয়েছে ইংল্যান্ড। এই ইনিংস খেলার পথে ওয়ানডেতে ১ হাজার রানও পূর্ণ করেছেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটার।
এই ফরম্যাটে ব্রুকের শুরুটা তেমন আশানুরুপ হয়নি। প্রথম ২১ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে মাত্র ২৫.২০ গড়ে করেছিলেন ৫০৪ রান। তবে গত বছর অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর পুরোপুরি বদলে গেছে তার ওয়ানডে ফরম্যাটের ব্যাটিং।
কিউইদের বিপক্ষে সেঞ্চুরিসহ ১২ ইনিংসে ৩ ফিফটি ও ২টি শতরানের সৌজন্যে ১১৯.৯২ স্ট্রাইক রেট ও ৬২.৬০ গড়ে তার সংগ্রহ ৬২৬ রান। জ্যাকারি ফোকস ও ম্যাট হেনরির তোপে বাকি ব্যাটাররা কোণঠাসা হলেও, শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিং করতে থাকেন ব্রুক। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৩৬ বলে ফিফটি করেন তিনি। ওভারটনের সঙ্গে সপ্তম উইকেট গড়েন ৮৭ রানের জুটি।
এরপর দশম উইকেটে লুক উডকে নিয়ে যোগ করেন আরও ৫৭ রান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৯ চার ও ৭ ছক্কায় ৮২ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে পা রাখেন ব্রুক। এরপর মারেন আরও ৪টি ছক্কা। মিচেল স্যান্টনারের বলে আরেকটি ছক্কা মারতে গিয়ে সমাপ্তি ঘটে তার বীরোচিত ইনিংসের।
বিডি প্রতিদিন/নাজিম