যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্বে স্থগিত থাকা প্লুটোনিয়াম নিষ্পত্তি চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট একটি আইনে স্বাক্ষর করে চুক্তিটি বাতিল করেন। এই চুক্তির লক্ষ্য ছিল উভয় পক্ষকে আরো পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণ থেকে বিরত রাখা।
পুতিন যে আইনে স্বাক্ষর করেছেন, যা রাশিয়ার আইন প্রণেতারা চলতি মাসের শুরুতে অনুমোদন করেছিলেন, তা হলো চুক্তিটির আনুষ্ঠানিক ‘বাতিলকরণ’।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের সম্পর্ক শীতল হওয়ার পটভূমিতে এই পদক্ষেপ এলো। ইউক্রেনে শান্তিচুক্তি গ্রহণে রুশ প্রেসিডেন্ট অস্বীকৃতি জানানোয় ট্রাম্প তার রুশ প্রতিপক্ষের ওপর ক্রমবর্ধমান হতাশা প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে পুতিনের সঙ্গে একটি শান্তি শীর্ষ বৈঠকের পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়েছিলেন এবং এটিকে ‘সময়ের অপচয়’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।
২০০০ সালে স্বাক্ষরিত এবং ২০১০ সালে সংশোধিত প্লুটোনিয়াম ব্যবস্থাপনা ও নিষ্পত্তি চুক্তির মাধ্যমে মস্কো এবং ওয়াশিংটন তাদের কোল্ড ওয়ার আমলের বিশাল প্লুটোনিয়াম মজুত থেকে ৩৪ মেট্রিক টন করে হ্রাস করতে এবং তা পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিল। চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনই তা বাতিল করলো রাশিয়া।
মার্কিন কর্মকর্তারা অনুমান করেছিলেন, এই চুক্তির ফলে প্রায় ১৭ হাজার পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান অপসারণ করা যেত।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর পর থেকে পশ্চিমা নেতারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে পারমাণবিক যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখানোর অভিযোগ করে আসছেন। হামলা শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই পুতিন তার পারমাণবিক বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রেখেছিলেন এবং গত বছর রুশ নেতা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সীমা কমানোর একটি ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেন।
গতকাল রবিবার পুতিন ঘোষণা করেন, রাশিয়া একটি নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের সফল চূড়ান্ত পরীক্ষা চালিয়েছে।
সূত্র : এএফপি ও মস্কো টাইমস।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত